জাপানের অর্থায়নে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়া স্থগিত

সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে জাপানের অর্থায়নে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে। শুক্রবার জাপান টাইমস জানিয়েছে, নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে এই দরপত্র স্থগিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টে মহেশখালীর মাতারবাড়িতে ১২০০ মেগাওয়াট ‘অত্যাধুনিক’ ক্ষমতার এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ৩৬ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করে বাংলাদেশের সরকার। একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পের কার্যপত্রে বলা হয়েছে, জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা এই প্রকল্পে ২৯ হাজার কোটি টাকা দেবে। কয়লা ওঠা-নামার জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গেই একটি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের বিষয়টিও প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জাপান টাইমস জানিয়েছে, দরপত্রে জাপানের তোশিবা করপোরেশন ও মিতসুবিসি হিতাচি পাওয়ার সিস্টেম লিমিটেড নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের অংশ নেওয়ার কথা ছিল।

প্রসঙ্গত গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নিহত বিদেশিদের মধ্যে সাতজন ছিলেন জাপানের নাগরিক, যারা ঢাকার মেট্রোরেল প্রকল্পে কাজ করছিলেন। শুক্রবার জাপান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গুলশানে জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ সরকার দরপত্র প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে।

বিদ্যুৎ সংকটে থাকা বাংলাদেশে বর্তমানে উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রায় ৭০ শতাংশই আসে গ্যাস থেকে। কয়লা থেকে আসা বিদ্যুতের পরিমাণ ৩ শতাংশেরও কম। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। এর অর্ধেক বিদ্যুতই কয়লা থেকে আসার কথা। মাতারবাড়ি-প্রকল্পের সার সংক্ষেপে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ‘আলট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি’ ব্যবহার করা হবে। এতে কেন্দ্রের কর্মদক্ষতা হবে ৪১ দশমিক ৯ শতাংশ।



মন্তব্য চালু নেই