জানেন কি টেলিভিশনকে পিছনে ফেলতে এসেছে নতুন মিডিয়া

বহু বছর ধরেই টেলিভিশন একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শুধু সংবাদ কিংবা বিনোদনই নয় নিত্যদিনের বহু চাহিদাই মেটায় এটি। তবে এবার টিভির সেই প্রভাব আর থাকছে না বলেই মনে করছেন ব্রিটিশ বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বার্কলের বিশ্লেষকরা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার। সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে বার্কলের বিশ্লেষক দাবি করছেন, ভবিষ্যৎ মিডিয়া হিসেবে বর্তমানে যে মিডিয়াগুলোর প্ল্যাটফর্ম গড়ে উঠছে তা সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের। এ বিষয়ে অনলাইনে চলচ্চিত্র ও বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠান দেখার সাইট নেটফ্লিক্সের উদাহরণ তারা টেনেছেন। এ ক্ষেত্রে ছোট ছোট নেটফ্লিক্স কিংবা নেটফ্লিক্সের নেটফ্লিক্সও হতে পারে কিছুটা অনুকরণীয়।

এখানে কোনো নির্দিষ্ট চ্যানেলের ধারণাটি কার্যকর নয় বলেই মতামত দিচ্ছেন তারা। নেটফ্লিক্সের কনটেন্টগুলো খুঁজে বের করার জন্য এএমসি টাইপ করার প্রয়োজন হয় না। সেখানে তার বদলে একই ধরনের বহু শিরোনাম প্রদর্শন করা হয়। এ শিরোনামগুলো থেকেই ব্যবহাকারীরা তাদের প্রিয় বিষয় খুঁজে নেন। নেটক্লিক্সে শো বলতে ‘বেসিক’ ইউনিটকেই বোঝানো হয়। এখানে কোনো নির্দিষ্ট চ্যানেলের কথা বোঝায় না। নেটফ্লিক্সের উদাহরণ থেকেই ভবিষ্যতের টিভি চ্যানেলগুলোর কাজ বোঝা সম্ভব বলে মনে করছেন বার্কলের বিশ্লেষকরা। এ ক্ষেত্রে টিভি চ্যানেলগুলো বহু বিষয় একত্রিত করবে এবং ব্যবহারকারীরা তা থেকে প্রয়োজনমতো বিষয় বেছে নেবে, এমনটাই মত তাদের।

নতুন পদ্ধতিতে ‘নেটওয়ার্ক’ বলতে কী বোঝাবে এ বিষয়টিও ব্যাখ্যা করেছেন গবেষকরা। কোনো একটি বিষয়কে হিট করানোর বদলে আরও জটিল বিষয় নিয়েই কাজ করবে মিডিয়াগুলো। এ ক্ষেত্রে টিভির তুলনায় ইন্টারনেট অনেক সুবিধাজনক হবে। চ্যানেল ও শো-এর মাঝে পার্থক্যগুলো ভবিষ্যতে মিলিয়ে যেতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, কেটি পেরির জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল কী কোনো নেটওয়ার্ক, নাকি এপিসোড নাকি প্রোগ্রাম? এ বিষয়টির উত্তর নির্ভর করছে, আপনি তা কিভাবে ব্যবহার করছেন তার ওপর। এটি নানা মাধ্যম থেকে আপনার সামনে আসতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই