জানুন দাঁত ব্রাশ না করে ঘুমালে কি মারাত্মক ক্ষতিসমূহ হতে পারে !

ছোটবেলা থেকেই আমরা জানি যে দাঁত ব্রাশ করে ঘুমাতে যাওয়াটা দাঁতের জন্য খুবই দরকারি। কিন্তু আপনি যদি একদিন ঘুমাতে যাবার আগে দাঁত ব্রাশ করতে ভুলে যান তখন কি হবে? আপনার মুখের ভেতরটার অবস্থা হবে জঘন্য।

দিনে দু’বার ব্রাশ করাটা হলো মুখের সুস্থতা নিশ্চিত করার সবচাইতে সহজ উপায়। এতে দাঁত যেমন বেশ সাদা থাকে তেমনি আপনার নিঃশ্বাসও থাকে দুর্গন্ধমুক্ত। কিন্তু ব্যাপারটা এখানেই থেমে থাকে না।

একটি রাত্রি ব্রাশ না করে ঘুমিয়ে গেলেই মুখের ভেতরে জমে উঠতে থাকবে ব্যাকটেরিয়া, যাকে আমরা বলি প্লাক। এর থেকে দাঁত ক্ষয় হয়ে যেতে পারে এমনকি হতে পারে মাড়ির বিভিন্ন রোগ।

প্লাক জিনিসটা কি, সেটা বুঝে ওঠার জন্য দিনের মাঝামাঝি সময়ে দাঁতের ওপরে, মাড়ির কাছে নিজের জিহ্বা বুলিয়ে নিন। মনে হবে দাঁত হয়ে আছে অমসৃণ এবং আঠালো। দাঁতের ওপরের এই আবরণটাই প্লাক। ব্রাশ করলে এই প্লাক সরে যায়, এক জায়গায় জমে উঠতে পারে না। কিন্তু ব্রাশ না করলে প্লাক দাঁতের ওপরে জেঁকে বয়াসার সুযোগ পেয়ে যায়, একটু একটু করে ক্ষয় করে ফেলে দাঁত।

আর একটা সময়ে এই প্লাক থেকে তৈরি হতে পারে টারটার। টারটার হলো দুই দাঁতের মাঝে জমে যাওয়া হলদেটে একটা পদার্থ যার কারণে মাড়িতে প্রদাহ হয়ে রক্তপাত হতে পারে। বেশিদিন দাঁতে টারটার জমে থাকলে আপনার সাধের দাঁত খুইয়ে বসতে পারেন।

দাঁত নিয়মিত ব্রাশ না করলে যেমন প্লাক জমে দাঁত নষ্ট হয়ে যেতে পারে, তেমনি যেমন-তেমনভাবে ব্রাশ করলেও ক্ষতি হতে পারে। দাঁত ব্রাশ করা নিয়ে হেলাফেলা করা যাবে না মোটেই। দিনে দু-বার ব্রাশ করাটা জরুরী। আর তা করা ভালো ফ্লোরাইড টুথপেস্ট এবং নরম একটা ব্রাশ ব্যবহারে।

দুই মিনিট ধরে যত্ন নিয়ে ব্রাশ করতে হবে, আর যত্ন নিতে হবে সবগুলো দাঁতেরই। শুধুমাত্র হাসলে দাঁতের যে অংশটি দেখা যায়, তা বাদে বাকি অংশটাও কিন্তু যত্ন করে পরিষ্কার করতে হবে। নিয়মিত ফ্লসিং করাও ভালো। আর ডেন্টিস্টের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন যাতে যে কোনো সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়েই ধরা পড়ে যায়।

অনেকে আলসেমি করে ব্রাশ করার বদলে ব্যবহার করেন মাউথওয়াশ, গাম এবং ব্রেথ মিন্ট। এমনটা কিন্তু মোটেই চলবে না। এগুলো সাময়িকভাবে আপনার মুখের ভেতরটাকে ফ্রেশ রাখে বটে, কিন্তু প্লাক পরিষ্কার করার জন্য ব্রাশ এবং ফ্লস ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই।



মন্তব্য চালু নেই