জাতীয় সৃতিসৌধে সাংবাদিক লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা

সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (গবিসাস) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা আসিফ আল আজাদকে কর্তব্যরত আনসার সদস্য রিপন (৩২) কতৃক শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সাংবাদিকদের আয়োজিত এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল ফটকের সামনে অনুষ্ঠিত হয়।

অনতিবিলম্বে ওই আনসার কর্মীকে প্রত্যাহারের দাবিতে অনুষ্টিত আজকের এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- সাভার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিথুন সরকার, গবিসাসের সভাপতি ওমর ফারুক সোহান, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চুয়েটসাস) সভাপতি রাকিবুল হাসান রাকিব এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (কুবিসাস) তথ্য ও পাঠাগার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মুসাইব ও প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গবিসাসের কার্যনির্বাহী সদস্য পলাশ।

বক্তারা বলেন, সারাদেশে বর্তমানে সাংবাদিকদের সাথে এমন সব ঘৃণিত ঘটনার প্রমাণ আমরা দেখছি। এ অবস্থা মেনে নেয়া যায় না। ঈদের আগেই এই আনসার কর্মীকে তার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। আর যদি না করা হয় তবে ঈদের পর আরও কঠোর কর্মসূচী প্রদান করা হবে।

এ সময় সাভার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিথুন সরকার বলেন-“সাংবাদিক মহল সোচ্চার না হলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকবে। অবিলম্বে আনসার কর্মীর দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হোক। সাংবাদিকদের সাথে এমন আচরণ তাদের সংবাদ সংগ্রহের কাজের ভাবমূর্তিকে ক্ষূন্ন করে যা মেনে নেয়া যায় না।”
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (০৯ জুলাই) বিকেলে সাড়ে ৫টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধের ভেতর ভি.আই.পি লাউঞ্জে এ ঘটনা ঘটে।

সংবাদ সংগ্রহকালে আনসার সদস্য রিপন অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে আসিফের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ও তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন।

এ সময় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিমসহ স্মৃতিসৌধের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে বিষয়টিকে তুচ্ছ বলে উড়িয়ে দেন। এবং আসিফকে স্মৃতিসৌধ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।

এ ঘটনার নিন্দা ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে গবিসাস, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন, সাভার প্রেসক্লাব, আশুলিয়া প্রেসক্লাব, জাবিসাস, জাবি প্রেসক্লাব, ঢাবিসাস, রাবিসাস, বাকৃবিসাস, জবিসাস, ইবিসাস, চবিসাস, শেকৃবিসাস, কুবিসাস, চুয়েটসাস।



মন্তব্য চালু নেই