জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভারে প্রবেশাধিকার চান বিদেশিরা

জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভারে প্রবেশাধিকার চান বিদেশিরা। ইতোমধ্যে তিনটি দেশের দূতাবাস এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি উইং) অনুবিভাগের কাছে আবেদন করেছে। জনগণের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা ও জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে এনআইডি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সোমবার আগারগাঁওস্থ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনে এনআইডি প্রকল্পের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত-বিনিময়কালে এনআইডির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

এনআইডির মহাপরিচালক বলেন, ‘দেশের ১০ কোটিরও বেশি ভোটারের ব্যক্তিগত তথ্য এনআইডির ডাটা সেন্টারে সংরক্ষিত রয়েছে। এখানে একজন ভোটারের নাম ঠিকানাসহ ৩১ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। ’

জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভার ভিজিটে বিদেশিদের অনুমতির আবেদন প্রসঙ্গে এনআইডির ডিজি বলেন, ‘বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি মিলে ৭৪টি সংস্থায় তাদের সার্ভার ব্যবহার করে জনগণের তথ্য যাচাই করছে। তিনটি বিদেশি দূতাবাস এই সুযোগ পেতে লিখিত আবেদন করেছে। আরও কয়েকটি দেশ আমাদের সঙ্গে মৌখিকভাবে কথা বলেছে। আমাদের সার্ভারে দেশের জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে। এর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থও জড়িত আছে। কাজেই আমরা জনগণের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। যা করব, তা জনগণকে জানিয়েই করব।’

এক প্রশ্নের জবাবে সাইদুল ইসলাম জানান, ‘ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশের ৯ কোটি ভোটারের সবাইকে স্মার্ট কার্ড দিতে হলে বাড়তি ১৮টি প্রিন্টার মেশিনের প্রয়োজন। পাশাপাশি সময় মতো দিতে হলে প্রিন্টের কাজ তিন শিফটে করতে হবে। তবে কার্ড বিতরণ হবে থানা অফিস থেকে।’

আগে ১০টি মেশিনে ১টি শিফটে কাজ করা হতো উল্লেখ করে সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন মেশিনগুলো নির্বাচন ভবনের আন্ডার গ্রাউন্ডে বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’ অনেকে কার্ড পাচ্ছেন না, এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, ‘যারা পাচ্ছেন না, তাদের তথ্য অসম্পূর্ণ। অসম্পূর্ণ তথ্যের কারণে কার্ড প্রিন্ট হচ্ছে না। এই কার্ডের স্থায়িত্বকাল ১০ বছর।’

উপজেলা পর্যায়ে কার্ড বিতরণের ৭৫ দিন আগে সংশ্লিষ্ট উপজেলার জনগণের ভুল সংশোধনের সুযোগ রেখে ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও জানান এনআইডি বিভাগের ডিজি। তিনি বলেন, ‘ফ্রান্স থেকে ৯ কোটি খালি কার্ড এনে এখানে প্রিন্ট করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৫ কোটি কার্ড পাওয়া গেছে। ৩০ জুনের মধ্যে বাকি কার্ড দিতে বলা হয়েছে।’ চুক্তি অনুযায়ী না দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ডিজি জানান।



মন্তব্য চালু নেই