জাতিসংঘে পুরস্কার পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ প্রস্তাব

জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘পলিসি লিডারশিপ’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাওয়ায় সংসদে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চলতি অধিবেশনের ষষ্ঠ কার্যদিবসে রোববার ৭টা ৪৫ মিনিটে ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস। এরপর রাত ১০টা ৪০মিনিটের দিকে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনা শেষ হয়।

আলোচনা শেষে প্রস্তাবটি সংসদে পাস হয়। প্রস্তাবের আলোচনার সময় অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনা শুরু হয়। এরপর ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনা শেষ হয়। কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় প্রস্তাবটির উপর অনির্ধারিত আলোচনা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর পলিসি লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ-২০১৫’ ও আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থার (আইটিইউ) ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন’ পুরস্কার অর্জন করায় তাকে ধন্যবাদ জানাতে প্রস্তাব গৃহীত হয়।

আলোচনায় অংশ নিয়ে শিল্পমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বলেন, ‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিগুলি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে বাংলাদেশ পাচ্ছে। এতে বিশ্বমণ্ডলে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি শুধু এই দেশের নয়, আজকে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তিকামী নেত্রী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।’

বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আজকে আমরা আর্ন্তজাতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। যেখানেই যাই সবাই বলে, বাংলাদেশের বিস্ময়কর উত্থান। কাজেই জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন পূরণ হবে।’

দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘ড্রাইভিং সিটে কে আছে, এর উপর নির্ভর করে গাড়ি চলা, গাড়ির গতি বাড়ানো এবং খারাপ রাস্তাতেও নিশ্চিতভাবে গাড়ি চালানো। এই কাজটিই প্রধানমন্ত্রী করছেন।’

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘যদি জাতিসংঘে সেই রকম একটি পুরস্কার থাকত- পরিবেশ, উন্নয়ন, মহিলা অধিকার, আরও সবকিছু মিলিয়ে। তাহলে সেটিও প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশা করতে পারতেন।’

আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘নয়টা পদ্মা সেতু করার মতো বাংলাদেশের রিজার্ভ রয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য। ’

আলোচনায় আরো অংশ নেন জাতীয় পার্টির এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, জাসদের মইন উদ্দিন খান বাদল, আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুল মতিন খসরু, ডা. দীপু মনি, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ড. হাছান মাহমুদ, অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল মান্নান, ধীরেন্দ্র নাথ শম্ভু, তাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম, অধ্যাপক আলী আশরাফ, আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, মনিরুল ইসলাম, রুস্তম আলী ফরায়েজী, সাবিনা আকতার তুরিন, ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী।



মন্তব্য চালু নেই