জাতির জনকের স্মৃতি বিজড়িত উখিয়া চেংছড়িতে বঙ্গবন্ধু মিউজিয়াম হচ্ছে

কক্সবাজারের উখিয়ার উপকূলীয় ইনানীর চেংছড়ি গ্রামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত ফেলোরাম চাকমার বাড়িকে ঘিরে অবশেষে ‘বঙ্গবন্ধু মিউজিয়ামসহ একটি পরিপূর্ণ পর্যটন স্পট’ হচ্ছে । শুক্রবার ১৪ আগষ্ট সকালে ফেলোরাম চাকমার বাড়িটি সংরক্ষিত স্থান হিসেবে ঘোষণা ও ফলক উন্মোচন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট বীরেন সিকদার।

আর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবধানে খুলে যাচ্ছে স্বপ্নের দুয়ার ।

বেঁচে থাকতে এই আনন্দের মুর্হুতটি ফেলোরাম চাকমা দেখে যেতে না পারলেও তার বংশধর ৬০ বছর বয়সী নাতি রবিঅং চাকমা তা দেখে আনন্দ অশ্র“ ফেলেছেন দু’চোখ দিয়ে। পাশাপাশি সেই স্থানের ৮টি আদিবাসী পরিবারের মাঝেও আনন্দের বন্যা বইছে।
পলাতক বঙ্গবন্ধুর আশ্রয়স্থল কালের স্বাক্ষী এবং বঙ্গবন্ধুর সেবক স্থানীয় সোনারপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হাকিম মাষ্টার ও উখিয়ার খয়রাতি পাড়ার শতায়ু আবদুল খালেক এখনো বেঁচে আছেন। তবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে যেই বৃদ্ধা রান্না করে খাওয়াতেন সেই ছখিনা বেগম মারা গেছেন দু’বছর আগে।

স্থানীয়রা জানান, উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের উপকূলীয় ইনানী চেংছড়ি গ্রামে ১৯৫৮ সালের কোন এক সময়ে সাম্পানে করে এসে ফেলোরাম চাকমার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর থেকে বঙ্গবন্ধুর অমর স্মৃতি বিজড়িত এই স্থানটি অবহেলিত অবস্থায় পড়ে থাকে। কিন্তু গত কয়েক বছর আগে গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ পাওয়ার পর সর্বত্র আলোচিত হয়।

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়িটি সংরক্ষনের উদ্যোগ নেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই। এরই ধারাবহিকতায় কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসা বহুল আলোচিত বাড়িটি আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট বীরেন শিকদার শুক্রবার সকালে চেংছড়ি গ্রামে উপস্থিত হন। সেখানে তিনি ফেলোরাম চাকমার বংশধরদের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটি সরকারী ভাবে সংরক্ষনের ঘোষনা দেন ও ফলক উন্মোচন করেন।

এসময় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ, জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ড. অনুপম সাহা, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই