জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ের খরচ কীভাবে সামলাবেন? করুন এই ৮টি সহজ কাজ

এলাহি বিবাহানুষ্ঠানের খরচ অনেক। সেই খরচ বহন করার ক্ষমতা বা ইচ্ছে থাকে না অনেকেরই। এখানে রইল ৮টি পরামর্শ যেগুলি আপনার বিয়ের বাজেট ম্যানেজের ক্ষেত্রে কাজে আসবে

১. নিজে উপার্জন শু‌রু করার পর থেকেই বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য অল্প অল্প করে টাকা জমাতে শুরু করুন। কতদিন পরে বিয়ে করবেন, আনুমানিক কত খরচ হতে পারে বিয়েতে— সেই বিষয়গুলো মাথায় রেখে টাকা জমানো শুরু করে দিন। বিয়ের সময় দেখবেন, বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট রেডি।

২. বাজেট সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করে নিন। বাড়ি ভাড়ায় কত খরচ হবে, কত খরচ হতে পারে ক্যাটারারের পিছনে— এই সব হিসেব পাকা করে ফেলুন। অবশ্যই যাঁকে বিয়ে করতে চলেছেন তাঁর, এবং দুই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও পরামর্শ করে নিন এই বিষয়ে।

৩. বছরের যেসব সময় বিয়ের পক্ষে ‘অফ সিজন’, বিয়ে করুন সেই সময়। খরচ এমনিতেই অনেক কমে যাবে।

৪. নিমন্ত্রিতদের তালিকা খুব ভেবেচিন্তে তৈরি করুন। আপনি কোনও রাজা-বাদশা নন যে কয়েক হাজার মানুষকে আপনার বিয়েতে নিমন্ত্রণ করে খাওয়াতে হবে। বরং নিজের সুবিধামতো, সাধ্যমতো যতটা সম্ভব কম রাখুন নিমন্ত্রিতদের সংখ্যা।

৫‌. আজকের এই ডিজিটাল যুগে একগাদা খরচ করে বিয়ের কার্ড ছাপিয়ে লোকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিমন্ত্রণ জানানোর কোনও মানে হয় না। ফোন, এসএমএস বা মেইল-এ সারুন নিমন্ত্রণ।

৬. আজকের দিনে কিন্তু বিয়ের গয়না, পোশাকআষাক সবই ভাড়া পাওয়া যায়। কাজেই এগুলো কেনার বদলে ভাড়া নিয়ে কাজ চালিয়ে দিন। খরচ অনেকখানি কমে যাবে।

৭. খাদ্যের অপচয় করবেন না। নিমন্ত্রিতদের সংখ্যা মাথায় রেখে, সুচিন্তিতভাবে খাবারের আয়োজন করুন। এতে খাবারের অপচয় আর খরচা— দুটোই কমবে।

৮. ফোটোগ্রাফার, ডিজে— এ সবের কি খুব প্রয়োজন রয়েছে? ভেবে দেখুন, ক্যামেরা তো আজকাল সকলের মোবাইলে। আর তাতে ছবিও তো নেহাৎ মন্দ ওঠে না। তাহলে আর ফোটোগ্রাফারের পেছনে একগাদা টাকা খরচের দরকার কী? মোবাইল বা নিজের ডিজিটাল ক্যামেরাতেই ধরে রাখুন বিয়ের স্মরণীয় মুহূর্তগুলি।



মন্তব্য চালু নেই