জলবায়ু সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেওয়া শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ভিভিআইপি ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

মরক্কোর বিমানবন্দর ত্যাগ করার সময় তাকে বিদায় জানান দেশটির সংস্কৃতিমন্ত্রী মোহামেদ আমিন সবিহি, মরক্কোয় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন ও মরক্কো সরকার ও বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

মরক্কোর সাবেক রাজকীয় নগরী মারাকেশে তিন দিনব্যাপী এই (কপ-২২) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন হিসেবে পরিচিত মারাকেশ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ৮০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান এবং ১১৫টি দেশের সিনিয়র মন্ত্রীরা যোগদান করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে মঙ্গলবার সকালে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

মঙ্গলবার রাতে সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী জলবায়ুর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে (এসডিজি) পানি নিয়ে যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা অর্জনে তহবিল গঠনের প্রস্তাব দেন।

তিনি বলেন, ‘কার্যকর পানি ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে আমাদের সবার জন্য নিরাপদ খাবার পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি হস্তান্তরে সহায়তার জন্য ওয়াটার এসডিজি নিয়ে একটি বৈশ্বিক তহবিল গঠন করা যেতে পারে।’

২০৩০ সাল মেয়াদি এসডিজিতে যে ১৭টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তার মধ্যে ষষ্ঠটি পানি ও স্যানিটেশন। এসডিজি-৬ এ সবার জন্য স্যানিটেশন ও পানির সহজলভ্যতা এবং এর টেকসই ব্যবস্থাপনার কথা বলা হয়েছে।

তিনি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জলবায়ুজনিত অভিবাসন সমস্যা সমাধানে বৈশ্বিক উদ্যোগের আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা কপ-২২ সম্মেলনে যোগদানের জন্য সোমবার বিকেলে মরক্কোয় পৌঁছেন। প্রধানমন্ত্রীর ৫৮ সদস্যের সফরসঙ্গী দলে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।



মন্তব্য চালু নেই