জমে উঠেছে মাগুরার ঈদের বাজার

মোঃ কাসেমুর রহমান শ্রাবণ, মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরায় ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে শহরের বিভিন্ন বিপনি বিতান গুলো । ইতিমধ্যে শহরের বেবী প্লাজা , নুর জাহান প্লাজা, সুপার মার্কেট, সমবায় মার্কেট, কাজী টাওয়ার মার্কেট , খান প্লাজা , জমজম মার্কেট , আল-আমিন মার্কেট , জুতাপট্টির দোকান মালিকগুলো ক্রেতাদের পছন্দ অনুযায়ী নানা রঙের পরসা সাজিয়ে বসেছেন । মাগুরার ঈদ বাজারে এবার তরুনীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে লং কামিজ, থ্রিপিচ ,লেহেগা, ইন্ডিয়ান ও পাকিস্থানী থ্রিপিচ অন্যতম । শহরের আল-আমিন মার্কেট এ অবস্থিত মাহী বস্ত্রালয় এন্ড টেইলার্স সত্তাধিকারী শরীফ রেজাউল ইসলাম জানান, দশ রোজার পর থেকে আমার দোকানে খুব ভীড় । আমরা ক্রেতাদের পছন্দেও কথা মাথায় রেখে প্রতি বারই নিত্য-নতুন আধুনিক ডিজাইনের থ্রি-পিচ সংগ্রহে রাখি । এবার ঈদে তরুনীার বেশি লং কামিজ তৈরি করছেন । পাশাপাশি ফ্লোর টাচ থ্রি-পিচ , পাখি থ্রি-পিচ , র্সারা থ্রিপিচ , চায়না থ্রিপিচের কদর অনেক বেশি । এসব থ্রিপিচ ২১০০-৩৬০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হ্েচ্ছ । এগুলো ছাড়া ইন্ডিয়ান ও পাকিস্থানী থ্রিপিচও অনেক কদর রয়েছে। পোশাক তৈরি করতে আসা মলি আক্তার নামের এক তরুনী জানান, এবারের ঈদে আমার পছন্দের তালিকায় রয়েছে লং কামিজ । পাশাপাশি বাজারে আসা নতুন থ্রিপিচ র্সারা তৈরি করেছি ।
বেবী প্লাজার অন্যতম গামেন্টস মোহনা গামেন্টস এর মালিক শরীফুল ইসলাম জানান , প্রতি বারই আমি ঈদ কালেকশনে নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক সংগ্রহে রাখি । এবার ঈদে চায়না ফ্রক , র্সারা ,ফ্লোর টাচ পোশাক ভাল চলছে । প্রতিবারই আমার বিক্রি ভাল । এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি ।

কেনাকাটা বা ফ্যাশান সচেতনতাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেয়েরা এগিয়ে থাকলেও ছেলেদের জন্যও আয়োজনের কমতি থাকে না পোশাক বাজারে । মেয়েদের পাশাপাশি পছন্দ মত আধুনিক মর্ডান রেডিমেড ড্রেসটি বেছে নিতে এখন ছেলেদেরও চলছে কেনাকাটার ব্যস্ততা । মাগুরা শহরের বিভিন্ন ফ্যাশান হাউজ ,শপিং মল এবং ছেলেদের ছোট বড় রেডিমেট পোশাকের মার্কেটের গিয়ে দেখা গেছে নতুন কাট ও ডিজাইনের ভিত্তিতে দেশি-বিদেশি নানা ধরনের শার্ট ও টি শার্টের কালেকশন রাখা হয়েছে দোকান গুলোতে । রং বাহারি টি শার্টের পাশাাপাশি এবার ক্যাজুয়াল ব্র্যান্ডেড প্রিন্টের শার্টের কদর রয়েছে । বেবী প্লাজা শপিং মলের নিউ মডেল গার্মেন্টসের সত্তাধিকারি মাসুদ পারভেজ জানান, এবার ঈদের জন্য তরুনরা জিন্স প্যান্ট আর পাঞ্জাবী কিনছেন বেশি । পাশাপাশি আমার দোকানে ছোট শিশুদের নানা ধরনের বাহারি পোশাক রয়েছে । কিরণমালা , ঝিলিক, ড্রেস বেশির ভাগ মেয়েদের পছন্দ । তিনি আরো জানান ,ছেলেদের জিন্সের প্যান্ট দেশি ১ হাজারথেকে ১৪শ টাকা , চায়না থাই ১৫শ টাকা ২৪শ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে । টি শার্ট পাওয়া যাচ্ছে ২শ টাকা ১৫শ টাকা পর্যন্ত । পাঞ্জাবী ৮৫০ টাকা ৩ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে ।

পোশাক কিনতে আসা ছোট্ট শিশু ছড়ার মা নাজমুন নাহার জানান, শিশুদের পোশাকের এবার খুব দাম । পছন্দের মত ভাল পোশাক পাচ্ছি না । অনেক ঘুরে ঘুরে৪মোহনা গার্মেন্টস থেকে একটি পোশাক কিনছি ।
এবারের ঈদে কিশোরী ,তরুনী ,নববধূ ও বাঙালী নারী পছন্দের তালিকায় রয়েছে শাড়ি । ব্যবসায়ীরা জানান, ১২ রোজার পর থেকে বিভিন্ন বয়সী নারীরা শাড়ির দোকানে ভিড় করছেন । ক্রেতাদের পছন্দের কথা মাথায় রেখে নিত্য নতুন শাড়ি আনতে হয় আমাদের । শাড়ির বাজারের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়েছে । আগে ঈদে ভারতীয় শাড়ির কদর ছিল বেশি কিন্তু এবার ঈদে দেশি শাড়ির ব্যাপক চাহিদা হয়েছে । খান প্লাজা মার্কেটের বেনারসী হাউজ এর সত্তাধিকারি তনাই বিশ্বাস জানান,এবার দেশি শাড়ির চাহিদা বেড়েছে । ভারতীয় শাড়ির আছে সামান্য পরিমাণে । বাংলাদেশি শাড়ির মান ও কারুকাজ ভাল হওয়াতে এখন এ শাড়ি বাইরেও যাচ্ছে । এবার জজেট ,নেটের জজেট শাড়ি ৪ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে । তাছাড়া ঢাকার জামদানি , টাঙ্গাইল ও তাঁতের শাড়ি ও অনেকে কিনছেন ।

বেবী প্লাাজা মার্কেটের শিকদার বস্ত্রালয়ের উজ্জল শিকদার জানান, ঈদকে সামনে আমরা বরাবরই নিত্য নতুন ডিজাইনের জজেট ,কাতান , রাজশাহী স্লিক , জামদানী , ট্ঈাাইল শাড়ি এনেছি । ১৫ রোজার পর ক্রেতদের উপচে পড়া ভিড় । অন্য বারের তুলনায় বেচাকেনা খুব ভাল ।

অন্য ব্যবসায়ীরা জানান, ১২/১৫রোজার পর শাড়ি বিক্রি শুরু হয়েছে । অন্যান্য বারের তুলনায় এবার বিক্রি ভাল । এ শাড়ি বিক্রি চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত । শাড়ি কিনতে আসা সাহিদা বেগম বলেন ,এবার ঈদে দেশি কিনেছি । রং , ডিজাইন ও মান ভাল হওয়াতে এ শাড়ি আমার পছন্দ ।

পাশাপাশি ঈদের পছন্দেও কাপড় কিনতে শহরের ফুটপাত গুলোতেও নি¤œ আয়ের মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে । শার্ট, প্যান্ট,বেবি ড্রেস, পাঞ্জাবীসহ বিভিন্ন ধরণের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে এ দোকান গুলোতে । শহরের ফুতপাত এর এক দোকান মালিক মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান এবার আমাদের বেচাকেনা ভাল একটা জমেনি। এভাবে চল্লে ঈদের সেমাই চিনি কেনা দুসকর হয়ে যাবে। শহরের পাশ্ববতী সাজিয়াড়া গ্রামের অটো চালক জানান , আমরা নি¤œ আয়ের মানুষ । ঈদের ছেলে-মেয়েদের পোশাক কিনতে এসেছি । অন্য বারের তুলনায় এবার পোশাকের দাম অনেক বেশি । অনেক দোকান ঘুরে পছন্দের পোশাক কিনবো ভাবছি । এছাড়া শহরের জুতাপতি মার্কেটগুলোতে খুব ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। প্যারাগন সু বাজার এর মালিক মোঃ মফিজুর রহমান হিরোক জানান ক্রেতাদের প্রছন্দের কথা মাথাই রেখে আমরা নতুন নতুন মডেলে জুতা সেন্ডেল এনেছি বেচাকেনা মোটামুটি ভাল আসা করছি সামনে আরো বিক্রি বাড়বে। শহরের মার্কেট গুলোতে সকল প্রকার অপ্রিত্রিকর পরিস্তিথি এড়াতে মোতায়ন করা হয়েছে পুলিশ।



মন্তব্য চালু নেই