জনসমক্ষে ধূমপান বন্ধে হাইকোর্টের রুল

আইন অনুসারে জনসমক্ষে ধূমপান বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এক আইনজীবীর রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জে আর খান রবিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।

রুলে আইনের দুটি ধারা বাস্তবায়নে কেন পদক্ষেপ নেওয়া হবে না এবং আইন অনুসারে উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

স্বাস্থ্য সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিট আবেদনকারী আইনজীবী শাম্মী আক্তার আইনের ৭ ও ৮ ধারার বাস্তবায়ন এবং জনসমক্ষে ধূমপান বন্ধে পদক্ষেপ নিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়েছিলেন।

২০০৫ সালের ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন করে সরকার। ওই আইনে সংজ্ঞায়িত পাবলিক প্লেসে ধূমপানে জরিমানার বিধান রয়েছে।

আইনের ৭ এর ১ উপ-ধারায় বলা হয়েছে, কোনো পাবলিক প্লেসের মালিক, তত্ত্বাবধায়ক বা নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি বা ব্যবস্থাপক উহাতে এবং কোনো পাবলিক পরিবহণের তত্ত্বাবধায়ক, নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি বা ব্যবস্থাপক উহাতে ধূমপানের জন্য স্থান চিহ্নিত বা নির্দিষ্ট করে দিতে পারবেন। উপধারা ২-এ বলা হয়েছে, কোনো পাবলিক প্লেস বা পাবলিক পরিবহণে ধূমপানের স্থানের সীমানা, বর্ণনা, সরঞ্জাম এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে।

আইনের ৮ ধারায় সতর্কতামূলক নোটিস প্রদর্শন বিষয়ে বলা হয়েছে, ধারা ৭-এর অধীন ধূমপান এলাকা হিসেবে চিহ্নিত বা নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে প্রত্যেক পাবলিক প্লেসের মালিক, তত্ত্বাবধায়ক, নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি বা ব্যবস্থাপক উক্ত স্থানের এক বা একাধিক জায়গায় এবং পাবলিক পরিবহণের মালিক, তত্ত্বাবধায়ক, নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি বা ব্যবস্থাপক সংশ্লিষ্ট যানবাহনে ‘ধূমপান হতে বিরত থাকুন, ইহা শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ সম্বলিত নোটিস বাংলা এবং ইংরেজি ভাষায় প্রদর্শন করিবার ব্যবস্থা করিবেন।

আইনজীবী জে আর খান রবিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইনেপাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করা এবং ধূমপানমুক্ত এলাকায় সতর্কতামূলক বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের ব্যবস্থা করার কথা বলা আছে। কিন্তু যথাযথ কর্তৃপক্ষ ওই আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কোনো ধরনের দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়ায় নারী-শিশুসহ সাধারণ জনগণ ক্ষতির শিকার হয়ে থাকে। এ কারণে জনস্বার্থে রিটটি করা হয়।’



মন্তব্য চালু নেই