জনপ্রিয় ৬ জন তারকার অজানা খবর

প্রিয় তারকার যে কোন খবর জানতেই মন কেমন যেন আকুপাকু করে। আর তা যদি হয় অজানা খবর তাহলে তো কথায় নেই। জেনে নিন তারকাদের এমনি কিছু অজানা খবর।

এটিএম শামসুজ্জামান

গুণী অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। তিলে তিলে কষ্ট করেই আজকের অবস্থানে তিনি। জানেন কি শুরুতে সিনেমার এসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করেছেন এ অভিনেতা। আর সহকারি হিসেবে তার প্রথম কাজ ছিলো শিল্পীদের জুতা পাহারা দেওয়া।

উল্লেখ্য ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর হাত ধরে সহকারি পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি।

রুবেল

ঢালিউডের অ্যাকশন হিরোর তকমাটা এখনো গায়ে লেগে রয়েছে তাঁর। কুংফু কারাতের এই নায়কের কণ্ঠে অ্যাকশন সংলাপের বাইরে নরম কণ্ঠের সুরেলা গান কেউ কল্পনায় করতে পারেন না। শুনতে অবাক হলেও এটা সত্যি যে নায়ক হওয়ার আগে এই মারকুটে অভিনেতা ছিলেন গায়ক। ভাই সোহেল রানার বেশ কিছু ছবিতে প্লেব্যাকও করেছেন তিনি।
এটা তো গেল গানের গল্প। এর চেয়েও ভয়ঙ্কর গল্প আছে এই নায়কের । একবার তো সিনেমার দৃশ্যের প্রয়োজনে ইঁদুর কামড়ে ধরেছিলেন রুবেল। শহীদুল ইসলাম খোকনের ‘বিপ্লব’ ছবির সেটে এমন কাণ্ড করেছিলেন রুবেল।

শাকিব খান

ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। ‘অনন্ত ভালোবাসা’ ছবিতে অভিনয় করেই অভিষেক ঘটে শাকি তাঁর। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এ ছবিতে শাকিব খান নয়, অভিনয় করার কথা ছিলো সালমান শাহের। ছবিটির জন্য সালমান শিডিউলও দিয়েছিলেন। কিন্তু সালমানের অকাল মৃত্যুর ফলে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ছবিটি আর বানাবেন না। কিন্তু কয়েক বছর পর শাকিব খানকে নায়ক বানিয়ে ছবিটি নির্মাণ করেন সোহান।

মাহি

জাজ মাল্টিমিডিয়ার হাত ধরে সিনেমায় আগমন ঘটে মাহিয়া মাহির। আর এখন তো দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকার তকমাটা গায়ে জড়িয়ে ফেলেছেন তিনি। কিন্তু জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ জানিয়েছেন মাহির প্রথম ছবি ‘ভালোবাসার রঙ’ এ অভিনয় করার কথা কিন্তু মাহির ছিলো না। সে ছবির জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছিলো নাবিলা নামের এক মডেলকে। কিন্তু বাংলা ছবিতে ভরসা না করতে পেরে জাজের ছবিতে আর কাজ করেন নি সে মডেল। আর এর পরেই জাজ খুঁজে পায় মাহিকে।

ভাবনা

ভাবনাকে সবাই অভিনেত্রী হিসেবে জানলেও তার রয়েছে আরও একটি গুণ। তিনি কিন্তু কবিতাও লিখেন। তবে তা শুধুই নিজের জন্য। ভাবনা বলেছেন মন চাইলে মাঝে মাঝে কবিতা লেখেন তিনি। যা ইচ্ছে হয় তাই ফুটিয়ে তোলেন কবিতায়।

পড়শি

জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী পড়শি। গানের পাশাপাশি সম্প্রতি অভিনয়েও নাম লিখিয়েছেন তিনি। ক্ষুদে গানরাজের মাধ্যমে সঙ্গীতাঙ্গনে আসা এই কণ্ঠশিল্পীর এখন আর ছোট্টটি না থাকলেও তার কিন্তু রিয়েছে একটি আস্ত চিড়িয়া খানা। হ্যা, অবাক হওয়ার কিছু নেই ছোটবেলায় পড়শির প্রিয় প্রাণীদের দিয়ে এই চিড়িয়া খানা নির্মাণ করেছিলেন পড়শির মা। নিকুঞ্জের বাড়িতে গড়ে তোলা হয় এই মিনি চিড়িয়াখানা।

পড়শীর চিড়িয়াখানায় পাঁচ-ছয় প্রজাতির পায়রা, খরগোশ, কুকুর, বানরসহ আছে অনেক প্রাণী। এর মধ্যে কুকরই নাকি সবচেয়ে বেশি প্রিয় পড়শির।



মন্তব্য চালু নেই