জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারা এনজিওর নিবন্ধন পাবে না

সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক দল, সরকারি কর্মকর্তা, জাতীয় এবং স্থানীয় পরিষদের সদস্যরা কোনো এনজিওর নিবন্ধন নিতে পারবেন না। এনজিওর কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন না, এর মাধ্যমে তারা কোনো বৈদেশিক অনুদান গ্রহণ করতেও পারবেন না।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন-২০১৪’ এর খসড়ায় এই বিধান রেখে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভুইঞা এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

সচিব জানান, এনজিও ব্যুরো থেকে এনজিওর নিবন্ধন নিতে হবে। এ নিবন্ধন দেয়া হবে ১০ বছরের জন্য। কেউ আইন লঙ্ঘন করলে এনজিওর নিবন্ধন বাতিল হবে। ১০ বছর পরে নিবন্ধন নবায়ন করতে হবে। বিদেশ থেকে এনজিওর মাধ্যমে অনুদান গ্রহণ করলে ওই টাকা একটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে জমা রাখতে হবে।

তিনি জানান, নব্বই সাল থেকে এ পর্যন্ত এনজিওর মাধ্যমে ৫০ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ ছাড় করা হয়েছে।

সচিব আরও জানান, মন্ত্রিসভায় জাতীয় বীমানীতি-২০১৪ এর খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। এর ফলে জনগণের জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি হ্রাস সম্ভব হবে। এই আইনটির ফলে রাষ্ট্রীয় বীমা কী করে বাণিজ্যিকভিত্তিতে করা যায় সে সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে বৈঠকে।

এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, জাতীয় বীমা দিবস, গ্রুপ ইনস্যুরেন্স এবং বেসরকারি সেক্টরে পেনশন স্কিম চালু করার কথা বলা হয়েছে।

মন্ত্রিসভা বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষীয় বিনিয়োগ উন্নয়ন ও পারস্পরিক সুরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। আগামী ১৬ থেকে ১৮ জুন ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সফর করবেন। তখন চুক্তিটি স্বাক্ষর হবে। চুক্তিটির মেয়াদ হবে ১০ বছর। কোনো পক্ষ আপত্তি না করলে এরপরও চুক্তিটি চলবে।

বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বের ৩০টি দেশের এরকম চুক্তি রয়েছে।

এদিকে গত ২৫ থেকে ২৮ মে প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রীর যুক্তরাজ্য সফর সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই