জনগণ ছি ছি করছে

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘আসল বিএনপি’ ‘জাতীয়তাবাদী জনতার উচ্চ আদালত’ বসাতে গিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর বিএনপি বলছে, জনগণ সরকারের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে ছি ছি করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

রোববার ‘আসল বিএনপি’ পালিয়ে যাওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, সরকার গোয়েন্দাদের দিয়ে পাড়া-মহল্লা ও বস্তি থেকে টোকাই ও উচ্ছিষ্টদের ধরে এনে বিএনপি কার্যালয় দখলের চেষ্টা করছে। বিএনপি যাতে শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে না সেজন্য সরকার এ ধরনের হীন কৌশল ও অপচেষ্টা করছে।

এ সংবাদ সম্মেলনের আগে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘জাতীয়তাবাদী জনতার উচ্চ আদালত’ বসাতে যায় ‘আসল বিএনপি’। একটি পিকআপ নিয়ে ‘আসল বিএনপি’র মুখপাত্র দাবিদার কামরুল হাসান নাসিমের লোকজন আনন্দ ভবন কমিউনিটি সেন্টারের সামনে পৌঁছালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে লাঠিসোটা হাতে ছুটে আসেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। পিকআপটিতে ভাঙচুর চালিয়ে তারা আগুনও ধরিয়ে দেন সেটাতে।

মূলত উদ্ভূত এ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তারও করতে পারেনি।

পল্টন থানার ওসি মোর্শেদ জানান, দুর্বৃত্তরা ‘আসল বিএনপি’র একটি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় কেউ আটক হননি।

রিজভী আহমেদ বলেন, সরকার গোয়েন্দাদের দিয়ে পাড়া-মহল্লা ও বস্তি থেকে কিছু অপকৃষ্ট-নিকৃষ্ট ও টোকাইদের ধরে এনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে দিয়ে মিছিল করিয়ে প্রমাণ করতে চায়, এরা বিএনপির আরেকটি অংশ। এটি করলে তারা বিএনপি হয়ে যাবে না। বিএনপি কোনো চিনামাটির বাসন ও মেলামাইনের থালা নয় যে, ফেলে দিলেই ভেঙে টুকরা টুকরা হয়ে যাবে। বিএনপি ইস্পাত-কঠিন ঐক্যের জাতীয়তাবাদী শক্তির দল।

রিজভীর অভিযোগ, সরকার তাদের শান্তি ও স্বস্তিতে মিছিল-মিটিং করতে দেয় না। অথচ সরকার গোয়েন্দাদের দিয়ে কিছু নিকৃষ্ট ও টোকাই ধরে এনে নিরাপত্তা দিয়ে মিছিল করায়। এতেই বোঝা যায়, কারা ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

রিজভী বলেন, সরকার জনবিছিন্ন হয়ে একের পর এক নাটক ও ষড়যন্ত্র করছে। কয়েকদিন আগেও রাস্তার কিছু টোকাই দিয়ে পার্টি অফিসে হামলা করা হয়। এরআগেও অনেককে দিয়ে বিএনপি ভাঙার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াই দলটির একমাত্র ধারক-বাহক। তার নেতৃত্বেই বিএনপি পরিচালিত হচ্ছে এবং হবে।

সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, আপনারা যদি এমন নিকৃষ্ট কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখেন তাহলে জনগণ আপনাদের বিচার করবে। আর জনগণের সে বিচারের রায় হবে ভয়ঙ্কর । সেই রায়ে আপনারা মাজা সোজা করে দাঁড়াতে পারবেন না।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক কবির মুরাদ প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই