‘জঙ্গি অর্থদাতা’ এনামুল রিমান্ডে

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন শহীদ হামজা ব্রিগেডকে (এসএইচবি) অর্থায়নের অভিযোগে চট্টগ্রামের এনামুল হক (৩৯) নামের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৭ এর পক্ষে রবিবার দুপুরে তার বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদ হোসেন এ আদেশ দেন। র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক এএসপি সোহেল মাহমুদ দ্য রিপোর্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে জানান, এনামুলকে অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হবে।

ব্যবসায়ী এনামুল হক যশোর জেলার কোতোয়ালী থানার জয়ন্তা গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে। জামায়াতের সমর্থক এই ব্যবসায়ী টঙ্গীর তুরাগ এলাকায় অবস্থিত ‘গোল্ডেন টাচ অ্যাপারেলস’ নামে একটি পোশাক কারখানার মালিক।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ আরও জানান, গার্মেন্টস মালিক এনামুল হককে বাঁশখালী থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। রবিবার তার বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে বাঁশখালী আদালতে হাজির করা হচ্ছে।

তিনি জাননা, বিভিন্ন সময়ে ১৪টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠন এসএইচবিকে এক কোটি ৩৮ লাখ টাকা অর্থায়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা দিয়েছেন ৫২ লাখ, আইনজীবী হাসানুজ্জামান লিটন ৩১ লাখ, মাহফুজ চৌধুরী বাপন ২৫ লাখ টাকা এবং ব্যবসায়ী এনামুল হক দিয়েছেন ১৬ লাখ টাকা। বাকি ১৪ লাখ টাকার অর্থায়নকারীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

এ ছাড়া আল্লামা লিবাদ নামে দুবাইয়ের এক নাগরিক এসএইচবিকে অর্থ দিয়েছে। নগদ ও হুন্ডির মাধ্যমে ওই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আরও লেনদেনের তথ্য রয়েছে বলেও জানান তিনি।

রাজধানী টঙ্গীর তুরাগ থেকে শনিবার রাত ১০টায় গার্মেন্টস ব্যবসায়ী এনামুল হককে আটক করা হয়। এএসপি সোহেল মাহমুদ জানান, ২০১৪ সালের আগস্টে এসএইচবি’র এক সংগঠকের ব্যাংক এ্যাকাউন্টে ১৬ লাখ টাকা দিয়েছিলেন এনামুল। ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা শাখা থেকে চট্টগ্রামের এ টাকা জমা করা হয়। অনুসন্ধানে সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে আটক করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই