জঙ্গিবাদ-গণতন্ত্র মিলেমিশে একাকার

গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, জঙ্গিবাদ ও গণতন্ত্র মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকার সম্পূর্ণরূপে জঙ্গিবাদ ও গণতন্ত্রকে আলাদা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

আর জঙ্গিবাদ-গণতন্ত্র মিলেমিশে গিয়ে তা এদেশের জনগণকে গভীর সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

রোববার (৮ মে) দুপুর ১২টায় রাজধানীর শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর হরতালবিরোধী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সংগঠনটিকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার দাবিও জানান ইমরান।

পাশাপাশি জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর দণ্ড দ্রুত কার্যকরের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ডা. ইমরান।

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ গত বৃহস্পতিবার জামায়াত আমির নিজামীর ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দেন।

এরপর দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদের নামে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে রোববার সকাল ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টার হরতালের বার্তা দেয়া হয়। যদিও দিনের শুরুতে ঢাকার রাজপথে সংগঠনটির কর্মী-সমর্থকদের মাঠে নামতে দেখা যায়নি।

ডা. ইমরান বলেন, ‘জামায়াত নিষিদ্ধ না করার ফলে তারা যে সুযোগ পাচ্ছে সে সুযোগের অপব্যবহার করে তারা হরতালের মতো কর্মসূচি দিচ্ছে।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘দেশে একদিকে জঙ্গিবাদের ভয়াল আস্ফালন, একের পর এক মানুষ হত্যা; অন্যদিকে সরকার উঠেপড়ে লেগেছে জঙ্গি নেই এ কথা প্রমাণ করবার জন্য।’

‘দেশে যদি জঙ্গি না থাকে তাহলে একের পর এক হত্যাকাণ্ড কারা করছে?’ সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন ইমরান।

ইমরান মনে করেন, ‘জামায়াত শিবির জঙ্গিবাদি কার্যক্রমের সাথে জড়িত। সরকার যদি তাদের নিষিদ্ধ না করে, তাহলে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের যে কমিটমেন্ট, সেটি কোনোভাবে প্রমাণ হবে না।’

সমাবেশ শেষে একটি হরতালবিরোধী মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শাহবাগ থেকে টিএসসি হয়ে ফের শাহবাগে এসে শেষ হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স, ভাস্কর রাশাসহ গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী-সমর্থকেরা।



মন্তব্য চালু নেই