জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দিল শিক্ষক, তদন্তে কমিটি

নিজ বিভাগের এক ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মীর মোশারেফ হোসেনের (রাজীব মীর) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্র জানায়, গত ১২ এপ্রিল ছাত্রীর ওই অভিযোগের ভিত্তিতে রাজিব মীরকে মাস্টার্সের এমএসএস শ্রেণির একাডেমিক ও অন্যান্য কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য অফিস আদেশ জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যার অফিস আদেশের স্মারক (জবি/প্রশা-১(২৩৭)/২০১১/১১৭০)।

একইসঙ্গে আরও দুই শিক্ষক বর্ণনা ভৌমিক ও প্রিয়াঙ্কা সরকারকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, যখন রাজীব মীর ওই ছাত্রীকে হুমকি দেন তখন এই দুই শিক্ষক তাকে সহায়তা করবেন বলে জানান যা মোবাইল ফোনে রেকর্ড করা আছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র জানায়, মাস্টার্সের ওই ছাত্রী রাজিব মীরের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলন, অনৈতিক প্রস্তাব ও মোবাইল ফোনে তার কথা মতো না চললে নম্বর কম দেওয়ার হুমকির অভিযোগ এনেছেন। ওই ছাত্রী ফোনের অডিও রেকর্ডসহ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক মোঃ সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা কারও পক্ষে না। সত্য যেটা সেটাই বের করে নিয়ে আসবো।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত কমিটির প্রাথমিক সুপারিশের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও আরও দু’জনকে মাস্টার্সের ক্লাস থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা তদন্ত প্রতিবেদনের পর নেওয়া হবে।’

এর আগে গত বছর ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের এক শিক্ষককে তিন বছরের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।



মন্তব্য চালু নেই