ছড়িয়ে পড়ছে কীর্তণখোলায় ডুবে যাওয়া জাহাজের কয়লা

বরিশালের কীর্তণখোলা নদীতে যাত্রীবাহী নৌযানের সঙ্গে ধাক্কায় ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে পানিতে ছড়িয়ে পড়ছে কয়লা। এতে নদীর অনুজীব ও জীব বৈচিত্র্যের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা।

শনিবার বিকালে নদীতে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী লঞ্চ গ্রিনলাইন-২ এর সঙ্গে কয়লাবাগী নৌযানটির ধাক্কা লাগে। চারশ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি কোনমতে তীর ভিড়তে পারলেও কয়লাবাহী জাহাজটি পুরোপুরি ডুবে যায়। এতে ৫২৫ জন কয়লা ছিল।

ডুবে যাওয়া কয়লাবাহী জাহাজ এবং প্রায় ডুবে থাকা লঞ্চ গ্রিনলাইন-২ উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীক। এর মধ্যে জাহাজ থেকে কয়লা ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সুব্রত কুমার সরকার বলেন, ‘কয়লায় কার্বন থাকে, যা পানির সাথে মিশে কার্বোনডাই অক্রাইট এমনকি কার্বোনেট এসিড তৈরি করতে পারে। যার ফলে পানি দূষিত হবে। এছাড়া অক্সিজেনের অভাব দেখা দেবে যাতে অনেক জলজ প্রাণী মারা যাবার আশঙ্কা রয়েছে।’

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি-বেলার বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী লিংকন বায়েন বলেন, ‘কয়লা ধীরে ধীরে পানিতে মিশে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যে কারণে নদীর অনুজীব ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হতে পারে। কয়লা উদ্ধারে দ্রুত তৎপরতা না চালালে কীর্তনখোলার পানিও নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম নয়।’

জাহাজটি কেন উদ্ধার করা যায়নি- জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএর বরিশালের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপ পরিচালক আজমল হুদা বলেন, ‘কয়লাবাহী জাহাজটি ৫২৫ টন কয়লা নিয়ে ডুবে যাওয়ায় এর ওজন দাড়িয়েছে এক হাজার টনের কাছাকাছি। কিন্তু আমাদেও উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভীকের উত্তোলন ক্ষমতা ২৫০ টন। তাই নির্ভীককে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তাহলে কয়লাবাহী জাহাজ কি উদ্ধার হবে না? জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ডুবে যাওয়া কার্গো মাসুদ-মামুন-১ শনাক্ত করে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্তের পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই