ছিলেন মহিলা, হয়ে গেলেন পুরুষ, তার পরেই আশ্চর্য পরিবর্তন জীবনে

‘লিঙ্গ-পরিচয়ই কি মানুষের এক মাত্র পরিচয়? অন্য মানুষকে কি আমরা কেবল নারী কিংবা পুরুষ হিসেবে চিনি? প্রত্যেকের নিজস্ব নাম রয়েছে, পদবী রয়েছে, পদ রয়েছে। ট্রান্সজেন্ডারদেরও তেমনটা রয়েছে। তাঁদের সুখ-দুঃখ অনুভূতি আর পাঁচটা মানুষের থেকে আলাদা কিছু নয়। ট্রান্সজেন্ডারদের সম্মান করতে শেখো।’ এক দল স্কুল পড়ুয়ার সামনে দাঁড়িয়ে বলছিলেন ইন্দোরের ছেলে কবীর গাওয়ালনি। জন্মগত ভাবে নারী হলেও, অপারেশনের মাধ্যমে যিনি পুরোদস্তুর পুরুষে রূপান্তরিত হয়েছেন কয়েক মাস আগে।

কবীরের জীবন এক নিরন্তর লড়াইয়ের উপাখ্যান। স্কুল জীবনেই তিনি উপলব্ধি করেন যে, দৈহিক বৈশিষ্ট্যে নারী হলেও নারী-পরিচিতি তাঁর পছন্দ নয়। নিজের বাবা-মাকে তিনি বলেছিলেন তাঁর এই উপলব্ধির কথা। কিন্তু প্রথমটায় তাঁরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। তাতে হাল ছাড়েননি কবীর। বহু কষ্টে নিজের সমস্যাটা বাবা-মাকে বোঝাতে তিনি সক্ষম হন।

কিন্তু পরিবারের বাইরেও এক বৃহত্তর সমাজ রয়েছে। সেই সমাজ এত সহজে সবটুকু বুঝতে চায় না। ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ডিগ্রি পাওয়ার পরে কবীর যখন এক নামী মাল্টি ন্যাশনাল সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি পান, সেখানেও নিয়মিত সহকর্মীদের হাসি-মস্করার সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। ‘ছেলেসুলভ’ মেয়েটির দিকে ভেসে আসতে থাকে নানা কটূক্তি। সাধ্যমতো তার প্রতিবাদ করতেন কবীর। তাতে তাঁর নৈমিত্তিক অপমানের তীব্রতা কম হলেও একেবারে বন্ধ হয়নি।

শেষমেশ মাস আটেক আগে মন শক্ত করে কঠিন সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেলেন কবীর। সিদ্ধান্ত নেন, মন থেকে তো ছিলেনই, শারীরিক পরিচিতিতেও এ বার পুরুষ হয়ে উঠবেন তিনি। জেন্ডার চেঞ্জ অপারেশন করিয়ে তিনি হয়ে উঠলেন পুরোদস্তুর পুরুষ-এবেলা



মন্তব্য চালু নেই