ছারপোকা মুক্ত করার কার্যকারি উপায়??

সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ছারপোকারা কীটনাশক সহ্য করার ক্ষমতা আগের তুলনায় প্রায় ৫০ গুণ বৃদ্ধি পয়েছে৷ বাড়িতে উপদ্রব করে এমন ২১ প্রজাতির ছারপোকার ওপর গবেষণা শেষে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এদের ধ্বংস করতে হলে আগে যে কীটনাশক ব্যবহার করতে হতো, এখন তার শক্তি আগের চেয়ে হাজার গুণ বেশি দরকার৷বিজ্ঞানীরা বলেছেন, প্রচলিত কীটনাশক এখন আর ছারপোকা ধ্বংসে কাজ করছে না।

কারণ, এগুলির ১৪টি জিনে কিছু পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিবর্তনের ফলে এদের চামড়া মোটা হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে, কীটনাশক এসব কীটের শরীরে ঢুকতেই পারে না। জিনগত কিছু পরিবর্তনের ফলে ছারপোকার স্নায়ুতন্ত্রে আঘাত করতে পারছে না কীটনাশক।

কোনও কোনও প্রজাতির ছারপোকা আবার কীটনাশক হজম করে ফেলার শক্তিও অর্জন করেছে। আমেরিকা ইউনিভার্সিটি অব কেন্টাকির পতঙ্গ বিশারদ ও গবেষক সুবা পালি জানান, কষ্টসহিষ্ণু ছারপোকার শরীরে ঘটে যাওয়া নানা পরিবর্তন এদের কীটনাশক থেকে রক্ষা করছে। তাঁদের মতে, উপদ্রুত জায়গায় ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ দিয়ে ছারপোকা মারাটাই সবচেয়ে কার্যকর হবে৷ তাছাড়া বাড়ির আসবাবগুলি রোদে দিয়েও ছারপোকা মারা যায়। কারণ, রোদের হাত থেকে বাঁচার উপায় এখনো ‘আবিষ্কার’ করতে পারেনি ছারপোকারা৷ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও দেশে-বিদেশে মানুষের চলাচল বেড়ে যাওয়ার ফলে চ্যাপ্টা আকারের ছারপোকা এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষভাবে সস্তা হোটেলগুলিতে এর উপদ্রব৷

হোটেলের অতিথিরা ঘুমিয়ে পড়ার পর এরা রক্তপান শুরু করে৷ হোটেল থেকে এখন এরা ছড়িয়ে পড়ছে বাড়িতেও৷ সেখান থেকেই এদের নির্মূল করা প্রায় অসম্ভব। গবেষকরা বলছেন, ছারপোকা রক্তপান না করে এক বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। আর একটি স্ত্রী ছারপোকা বছরে প্রায় এক লক্ষবার প্রজনন ঘটাতে পারে৷ তাও আবার পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই৷



মন্তব্য চালু নেই