ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সোহাগ-জাকির

অবশেষে গুঞ্জনকে সত্য করে ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি হিসেবে সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক পদে জাকির হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।

রোববার ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে কাউন্সিলরদের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে রোববার বেলা সোয়া ১১টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ শেষ হয় বিকেল সাড়ে ৫টায়। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা।

ভোট গণনা শেষে নির্বাচন কমিশনাররা জানান, নির্বাচনে মোট ৩ হাজার ১৩৮ ভোটারের মধ্যে ২ হাজার ৮১৯ জন ভোট দিয়েছেন। মোট ভোট পড়েছে ৮৯.৮৩ শতাংশ।

ফল গণনায় দেখা যায়, নির্বাচনে সোহাগ-জাকির প্যানেল বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছে। সভাপতি পদে সাইফুর রহমান সোহাগ পেয়েছেন ২ হাজার ৬৯০ ভোট এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জাকির হোসেন পেয়েছেন ২ হাজার ৬৭৫ ভোট।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিতুন কুণ্ডু রাত ৮টায় ফলাফল ঘোষণা করেন।

এর আগে শনিবার রাতে সোহাগ-জাকিরের প্যানেল নির্ধারিত হয়। ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম ও প্রাক্তন সভাপতি লিয়াকত শিকদারসহ প্রাক্তন কয়েকজন নেতা মিলে প্রার্থীদের মধ্য থেকে সোহাগ-জাকির প্যানেল নির্ধারণ করেন। এরপর নতুন কোনো প্যানেল নির্ধারিত হয়নি। তখনই স্পষ্ট হয়ে ওঠে ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি হতে চলেছেন সাইফুর রহমান সোহাগ আর সাধারণ সম্পাদক হতে চলেছেন জাকির হোসেন।

রোববার নির্বাচনের শুরুতে সভাপতি পদে ১৮ জন প্রার্থী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও পরে সভাপতি পদে ১০ জন আর সাধারণ সম্পাদক পদে ১৮ জন প্রার্থী লড়ছেন। ভোট গ্রহণ চলাকালে সভাপতি পদে আটজন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

ছাত্রলীগের দুই দিনব্যাপী ২৮তম জাতীয় সম্মেলনের আজ শেষ দিন। গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

নির্বাচন পরিচালনা করেছেন তিন নির্বাচন কমিশনার সুমন কুণ্ডু, মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ও শেখ রাসেল। এ ছাড়া ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু, ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি লিয়াকত শিকদার, এনামুল হক শামীম, ইসহাক আলী খান পান্না, ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

২০১১ সালের ১০ ও ১১ জুলাই হয়েছিল ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন। ওই সম্মেলনে এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ সভাপতি এবং সিদ্দিকী নাজমুল আলম সাধারণ সম্পাদক নির্বচিত হন। পরে তাদের নেতৃত্বেই চার বছর ধরে চলেছে সংগঠনের কার্যক্রম। আজ রোববার নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে সংগঠনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হলো নতুন নেতাদের হাতে।

উল্লেখ্য, সাইফুর রহমান সোহাগ ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির কেন্দ্রীয় পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। আর জাকির হোসেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ বিষয়ক সহসম্পাদক। তারা দুজনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ছাত্র ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই