চ্যানেল আইয়ের উপস্থাপক ফারুকী হত্যায় মামলায় ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ

চ্যানেল আইয়ের ইসলামী অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও ইসলামী ফ্রন্টের নেতানুরুল ইসলাম ফারুকী নিহত হওয়ার ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন তার ছেলে ফয়সাল ফারুকী। এই হত্যার রহস্য উদঘাটনে তিন ‘প্রত্যক্ষদর্শীকে’ থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানার উপ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিহতের মেজ ছেলে ফয়সাল বুধবার মধ্যরাতে ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বুধবার রাতে ডাকাতি করতে এসে পূর্ব রাজাবাজারের বাসায় নুরুল ইসলাম ফারুকীকে গলা কেটে হত্যা করে চলে যায় দুর্বৃত্তরা।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, তিনি হজে লোক পাঠানোর কাজেও যুক্ত ছিলেন বলে। হজের কথা বলেই কয়েকজন যুবক রাতে বাড়িতে ঢুকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে।

তার ভাগ্নে মারুফকে উদ্ধৃত করে রাজধানীর মিরপুরের বায়তুল রশিদ মসজিদের ইমাম মুফতি ইহসানুল হক হত্যাকাণ্ডের পর সাংবাদিকদের বলেন, “সাড়ে ৮টার দিকে হজে যাওয়ার কথা বলে দুই যুবক বাসায় আসে। দরজা খোলার পর তাদের সঙ্গে আরো ৬/৭ জন লোক ঢুকে পড়ে।

“তারা অস্ত্র বের করে বলে- কত টাকা আছে, আমাদের দেন। নুরুল ইসলাম বলেন, এখন বাসায় এক লাখের মতো টাকা আছে। তখন তারা বলে- আমরা এতগুলো মানুষ, এক লাখ টাকায় আমাদের হবে না।”

এরপর বাড়ির সবাইকে গামছা ও কাপড় দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফারুকীকে শোবার ঘরে নিয়ে জবাই করে যুবকরা চলে যায় বলে মুফতি ইহসানুল জানান।

বাসায় তখন মারুফ ছাড়া ছিলেন ফারুকীর স্ত্রী, মা ও গৃহকর্মী। নুরুল ইসলামের তিন ছেলের মধ্যে বড়জন আহমেদ রেজা ফারুকী বর্তমানে সৌদি আরব রয়েছেন। মেজ ও ছোট ছেলে তখন ঘরে ছিলেন না।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে জানাজা ও দাফনের জন্য ফারুকীর লাশ বাসায় নেয়া হবে বলে পরিবারের সদস্যরা জানান।

পুলিশের তেঁজগাও অঞ্চলের উপ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, “আমরা এ ঘটনার অন্তত তিনজন প্রত্যক্ষদর্শীকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। অপরাধী হিসেবে নয়, রহস্য উদঘাটনে তাদের সহায়তা নেয়া হচ্ছে।”



মন্তব্য চালু নেই