চ্যানেলগুলো ‘ওদের’ জন্য সিমপ্যাথি দেখিয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোতে ওদের (সাকা-মুজাহিদ) পরিবারের সদস্যদের কান্নাকাটি দেখিয়েছে। ওদের সিমপ্যাথি (সহানুভূতি) প্রকাশ করেছে। কিন্তু তারা (সাকা-মুজাহিদ) একাত্তর সালে কী করেছে তা দেখায়নি।

সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এক অনির্ধারিত আলোচনায় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সাকা-মুজাহিদের ফাঁসির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিডিয়ায় জোড়া ফাঁসির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এর আগেও অনেকের একসঙ্গে ফাঁসি হয়েছে। এমনকি একাধিক ব্যক্তিরও ফাঁসি হয়েছে, যেগুলো মিডিয়াতে বলা হয়নি।’

প্রসঙ্গত, গত শনিবার একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে একই সময় এক মঞ্চে ফাঁসির দড়িতে ঝোলানো হয়। এ খবর ফলাও করে প্রচার করে গণমাধ্যমগুলো। এদিন এমন ঘটনা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ইতিহাসে প্রথম বলে গণমাধ্যমকে জানান আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন।

এদিন সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন জানান, এর আগে এই কারাগারে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু হত্যার দায়ে যাদেরকে ফাঁসি দেয়া হয় তারা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, আর্টিলারি কোরের লে. কর্নেল মহিউদ্দিন, বরখাস্ত হওয়া সেনা কর্মকর্তা কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, মেজর বজলুল হুদা ও সেনাবাহিনীর ল্যান্সার ইউনিটের লে. কর্নেল একেএম মহিউদ্দিন। তবে এদের প্রত্যেককেই আলাদাভাবে ফাঁসির দড়িতে ঝোলানো হয়।



মন্তব্য চালু নেই