চেহারার মিল কার সঙ্গে?

আরিয়ানের সঙ্গে নিজের চেহারার মিল নেই বলে মন্তব্য করেছেন কিং খানখ্যাত শাহরুখ খান। শাহরুখ খানের সঙ্গে তার বড় ছেলে আরিয়ানের চেহারার অনেক সাদৃশ্য থাকায় অনেকেই তাকে শাহরুখের কার্বন কপি বলে থাকেন। কিন্তু শাহরুখ মনে করেন, ছোট ছেলে আবরামের সঙ্গেই বরং তার চেহারার মিল রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে শাহরুখের ভাষ্য, ‘আরিয়ান দেখতে আদৌ আমার মতো নয়। সত্যিই যদি সে দেখতে আমার মতো হতো! তবে সুহানা এবং আবরামের সঙ্গে আমার চেহারার সাদৃশ্য আছে। আমার মনে হয়, আরিয়ানের হাঁটার ভঙ্গিটা আমার মতো। আমার সঙ্গে সে প্রচুর সময় কাটায়। হতে পারে সে কারণেই আমার মতো করে হাঁটে সে।’ জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

তৃতীয় সন্তান আবরামকে নিয়ে জনসমক্ষে বের হতে এখনো অস্বস্তিবোধ করেন বলেও জানিয়েছেন শাহরুখ খান। শাহরুখ গত বছরের ২৭ মে তৃতীয় সন্তানের বাবা হন। তৃতীয় সন্তানের বাবা হতে সারোগেসি পদ্ধতির সাহায্য নেন তিনি। এ পদ্ধতিতে বাবা-মায়ের অনাগত সন্তানের ভ্রূণ পরিবারের বাইরের কোনো নারীর গর্ভে বেড়ে ওঠে। শুরুতে আবরামের সারোগেট মায়ের পরিচয় গোপন রাখা হলেও পরে জানা যায়, তাকে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন শাহরুখ-গৌরীর নিকটাত্মীয়া নমিতা শিবার।

গর্ভধারণের ৩৪ সপ্তাহ পর গত ২৭ মে আন্ধেরির মাছরানি হসপিটাল ফর ওমেনে আবরামের জন্ম দেন নমিতা। জন্মের পর জটিলতা দেখা দেওয়ায় প্রথমে আবরামকে জুহুর লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এভাবে মাস খানেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর সুস্থ হয়ে উঠলে শাহরুখের মান্নাত বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয় আবরামকে। তৃতীয়বার বাবা হতে গিয়ে ভালোই ঝক্কি পোহাতে হয় শাহরুখকে। সন্তান জন্মের আগেই লিঙ্গ নির্ধারণের অভিযোগ ওঠায় তাকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।

কারণ ভারতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ও বেআইনি। এমনকি শাহরুখের বিরুদ্ধে পিসিপিএনডিটি (প্রি-কনসেপশন অ্যান্ড প্রি-ন্যাটাল ডায়াগনস্টিক টেকনিকস) অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা ঠুকে দেন সমাজকর্মী বর্ষা দেশপান্ডে। এসব কারণে বাবা হওয়ার পর দুঃখ ও আনন্দের মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে বলেই জানিয়েছিলেন শাহরুখ। ব্যক্তিগত বিষয়টি নিয়ে মিডিয়ার বাড়াবাড়িতে তিনি প্রচণ্ড বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ হন।

এখনো আবরামকে নিয়ে জনসমক্ষে বের হতে অস্বস্তি অনুভবের কথা জানাতে গিয়ে শাহরুখ বলেন, ‘আবরামের জন্মের সময় সবাই তাকে নিয়ে যেভাবে কথা বলেছে তা আমাকে প্রচণ্ড মর্মাহত করেছিল। বিষয়টি কেবল অনাকাঙ্ক্ষিতই নয়, সম্পূর্ণ ভুল বলেই আমি মনে করি।

শারীরিকভাবে অসুস্থ ছোট্ট একটি শিশুকে নিয়ে এমন কথা বলা কীভাবে সম্ভব, তা আজও আমার বোধগম্য নয়। কিন্তু অনুভূতিহীন কিছু বোকার দল সেটাই করেছিল। আমার স্ত্রী প্রায়ই আবরামকে সঙ্গে নিয়ে বাইরে বের হতে বলে। কিন্তু আমার খুবই অস্বস্তি লাগে। আমি নিশ্চিত একদিন সে বড় হবে। বাড়ির বাইরে যাবে। কেউ হয়তো তার ছবি তুলবে। সে দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে। মাশাল্লাহ।’ সূত্র : ওয়েবসাইট।



মন্তব্য চালু নেই