চুল সোজা করার ঘরোয়া উপায়

হাল ফ্যাশনে সব স্টাইলের চল থাকলেও বেশিরভাগ মানুষের আকর্ষণ সোজা চুলের প্রতি। তাই মনের মতো সুন্দর সোজা চুল পেতে পার্লারে ছুটে যান। কোঁকড়া চুলের স্টাইল আপনার লুকটাকে একঘেয়ে করে তুলছে। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে কোনো রকম কেমিকেল বা হিট ছাড়াই যদি সুন্দর সোজা চুল পাওয়া যায় তবে কেমন হয় বলুন তো? সহজলভ্য আর হাতের কাছে পাওয়া ঘরোয়া উপাদান কাজে লাগিয়ে পেয়ে যান আপনার আকাঙ্ক্ষিত স্টাইলের চুল।

প্রথমে শ্যাম্পু করে গোসল করে নিতে হবে। এবার ভেজা থাকা অবস্থায় নিচু করে এবং শক্ত করে ঝুটি করুন। এরপর চিরুনি দিয়ে চুলগুলো ভালোভাবে আঁচড়ে নিন যেন জট না থাকে। প্রথম ব্যান্ডের ২ ইঞ্চি নিচে আরেকটি ব্যান্ড দিয়ে চুল শক্ত করে আটকে দিন। এভাবে পুরো চুলটাকে রাবার ব্যান্ড দিয়ে বেঁধে দিন। বাঁধা অবস্থায় চুল শুকিয়ে নিতে হবে। চুল শুকিয়ে গেলে ব্যান্ডগুলো খুলে চুলগুলো আবার ভালোভাবে আঁচড়ে নিতে হবে। এভাবে কয়েকদিন পর পর করলে চুল সোজা হতে বাধ্য।

এই সোজা চুলের স্থায়ীত্ব বাড়াতে ব্যবহার করতে হবে ঘরোয়া কিছু উপাদান। যেমন-

নারকেল এবং লেবু

তাজা নারকেলের দুধের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণটি কয়েক ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে। একটি ঘন ক্রিমি লেয়ার দেখা যাবে পাত্রের উপরে। এই লেয়ারটাই মাথার ত্বকসহ পুরো চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে চুল টিকে স্টিম করুন। সব শেষে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত করতে থাকলে ধীরে ধীরে দেখবেন আপনার চুল সোজা হতে শুরু করেছে।

সেলেরি

কয়েকটি ফ্রেশ সেলেরি পাতা ব্লেন্ড করে পানিতে মিশিয়ে দিন। তারপর মিশ্রণটি বোতলে সংরক্ষণ করে রাখুন ১দিন। প্রতিদিন গোসলের আগে মাথার ত্বকে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন তারপর শাম্পু করে ফেলুন।

দুধের পুষ্টি

আমরা সবাই জানি দুধ ময়েশরাইজারের কাজ করে আর এটিই চুল সোজা করার জন্য সহায়ক। ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে নেয়া আধা কাপ দুধ আধা কাপ পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার একটা স্প্রে বোতলে মিশ্রণটি ভরে সমস্ত চুলে স্প্রে করুন। তারপর আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ক্যাস্টর অয়েল

ক্যাস্টর অয়েলে আছে চুলের উর্বরতা বৃদ্ধি আর সোজা করার গুণাগুণ। এই তেল মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন, তারপর চিরুনি দিয়ে চুল বরাবর আঁচড়াতে থাকুন। যখন চুল আঁচড়াবেন তখন ব্লো ড্রাই করুন হাই হিটে। ব্লো ড্রাই করার পর চুলে যেন তেলতেলে ভাব না থাকে, চুল হতে হবে শুষ্ক। তারপর একটি ভেজা তোয়ালে দিয়ে চুল জড়িয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা ধরে। এটা চুলকে অতিরিক্ত হিট থেকে কোমল করবে আর সোজা হবে।

মধু এবং দুধ

এই কম্বিশন শুধু ত্বকের জন্য নয় চুলের জন্যও ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এক চামচ মধুর সঙ্গে এক কাপ দুধ মেশান। এই পেস্ট ২ থেকে ৩ ঘণ্টা চুলে লাগিয়ে রাখুন, তারপর ভালো মানের শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন করলে সিল্কি ও স্টেইট চুল পাওয়া যাবে।



মন্তব্য চালু নেই