চুলের রঙে চেহারা বদল

সহজে নিজের চেহারা বদলানোর সবচেয়ে সহজ উপায় চুলের স্টাইল বদলে ফেলা। কেটেছেঁটে নতুন একটা হেয়ারস্টাইল সঙ্গে থাকুক নানা ঢঙে চুলের রং। ব্যস, চেহারায় পান পরিবর্তনের ছোঁয়া। তবে তার আগে জেনে নেয়া দরকার হালের ফ্যাশনে চুলের রঙের ধরনটা কেমন চলছে?

হুট করেই চুলের রং না করিয়ে বরং আগে থেকে পরিকল্পনা করে নিন। কারণ, চুলের রঙ ঠিকঠাক না হলে তা দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। রং করানোর পর চুল রুক্ষ, অমসৃণ হয়ে যাওয়া, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চুল পড়া ইত্যাদি হতেই পারে। সে কারণে চুলের একটু বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এসবের সঙ্গে যদি মানিয়ে নিতে পারেন এবং চুলের যত্নের জন্য একটু সময় ব্যয় করতে পারেন, তবেই রং করানোর সিদ্ধান্ত নিন।

অস্কার ব্লান্ডি স্যালনের শীর্ষ চুলের রং বিশেষজ্ঞ কাইল হোয়াইটের মতে, বর্তমানে চুলের রঙের ট্রেন্ড হলো স্বর্ণরঙা প্লাটিনাম। সঙ্গে বেছে নিতে পারেন ক্যারামেল রংটি। আর ওমব্রে ঢংটাও কিন্তু বেশ চলছে। অর্থাৎ কাছাকাছি রঙের দুই রকম শেডের ব্যবহারও আপনি করতে পারেন।

আপনার চোখ ও ত্বকের বর্ণ যদি সোনালি, বাদামি বা হলুদ হয়, তাহলে চুলের রংও লালচে, বাদামি, মেহগনি, সোনালি ব্লন্ড ইত্যাদি হওয়া উচিত। চোখ ও ত্বকের রং গোলাপি ধরনের হলে ধূসর বা প্লাটিনামের শেডগুলো, বেশ মানিয়ে যাবে। আমাদের দেশের মানুষের ত্বকের রং অনুযায়ী চুলের রং কখনোই একেবারে সাদা বা ধূসর হওয়া উচিত নয়। তাই এমন কোনো রং পছন্দ করা উচিত, যাতে ত্বকের রঙের সঙ্গে চুলের রঙের সুন্দর একটা মিশ্রণ থাকে।

বাড়িতে বসেই যেকোনো এক রঙে পুরো চুল রাঙানো বা হালকা হাইলাইট করা সম্ভব। বাড়িতে যারা চুল রং করতে চান, তারা তৈরি করা রং কিনে নির্দেশনা অনুযায়ী করাতে পারেন। বাড়িতে চুল রং করার সময় খেয়াল রাখবেন, যাতে চুলের গোড়ায় রং বেশি না লাগে। তাতে চুল পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। যদি কয়েক রঙের শেড চান অথবা ওমব্রে করাতে চান, তাহলে পেশাদার কারও সাহায্য নেয়াই ভালো।

চুল রং করানোর পর অন্তত এক দিন অপেক্ষা করুন। প্রথম কয়েক দিন চুলে ফ্ল্যাট-আয়রন ব্যবহার করুন, এতে চুলের রং দীর্ঘস্থায়ী হবে। অবশ্যই কোমল কোনো শ্যাম্পু অথবা রং করা চুলের জন্য বিশেষভাবে তৈরি শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুলের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য ঠাণ্ডা পানিতে চুল ধুতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই