চুরি করতে এসে পেটে মোচড়, আরামে কাজ সেরে সব লুটে পালালো চোর!

প্রকৃতির ডাক বড় ডাক৷ উপেক্ষা করবে সাধ্য কার! সে রাস্তাঘাটা হোক আর অফিস-কাঁচারি, রেহাই নেই৷ এমনকী চুরি করতে এসেই সে ডাকের হাত থেকে নিস্তার মেলে না৷ পদে পদে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় তো আছেই৷

কিন্তু যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধে না হলেও প্রকৃতির ডাকটি ঠিক শোনা যায়৷ তাই চুরি করতে এসে চোর ঢুকে পড়ল বাথরুমে৷ আয়েশে বিড়িতে সুখটান দিয়ে কাজ সেরে, চুরি করে তারপর চম্পট৷ এ ঘটনারই সাক্ষী থাকল পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির মিলনপল্লি এলাকা৷

এলাকার বাসিন্দা বিষ্ণুপদ সরকার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী৷ গত ১৩ মার্চ চিকিৎসার কারণে সপরিবারে কলকাতা এসেছিলেন তিনি৷ আজ, শুক্রবার বাড়ি ফিরে তো

চক্ষু চড়কগাছ৷ দেখেন ঢোকার দরজা ভাঙা৷ তড়িঘড়ি দোতালায় উঠে দেখেন, চুরি হয়ে গিয়েছে৷ শোওয়ার ঘরে বক্স খাটের ডালা ভাঙা পড়ে আছে৷ কাগজপত্র ছড়ানো চতুর্দিকে৷ খাটের বক্সে আলাদা করে বিশ হাজার টাকা রেখেছিলেন, তাও উধাও৷ আর কী কী খোয়া গিয়েছে খুঁজতে গিয়েই আরও অবাক হলেন৷

দেখেন বাথরুমের দরজাটিও খোলা৷ একবালতি জল ভরে রেখে গিয়েছিলেন, সেটিও অর্ধেক খালি হয়ে গিয়েছে৷ মগটাও যে জায়গায় ছিল সেখানে নেই৷ আর বাথরুমে ছড়িয়ে আছে পোড়া বিড়ির টুকরো৷ এরপরই দুয়ে দুয়ে চার করতে অসুবিধা হয়নি৷ চুরি করতে এসে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে চোর যে বাথরুমে ঢুকেছিল তা বুঝতে দেরি হয়নি৷ বোঝা গেল, রীতিমতো আয়েশ করে কাজ সেরে তারপর ধীরেসুস্থে টাকাপয়সা হাতিয়ে তবেই চম্পট দিয়েছে চোর৷

পুরো ঘটনার কথা জানানো হয়েছে পুলিশকে৷ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে তদন্তও৷ চোরের ফেলে যাওয়া একটি চাদর উদ্ধার হয়েছে বিষ্ণুপদবাবুর বাড়ি থেকে৷ তালা ভাঙার একটি যন্ত্রও পেয়েছে পুলিশ৷ তার ভিত্তিতেই এগোচ্ছে তদন্ত৷ তবে চুরি করতে এসে চোরের বাথরুমে ঢোকার কথা যিনি শুনছেন তিনিই বিস্ময় গোপন করতে পারছেন না৷ অনেকের কাছেই গল্পের মতো শোনাচ্ছে৷ কিন্তু কে না জানে ট্রুথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন! বিষ্ণুপদবাবুর বাথরুমে পড়ে থাকা পোড়া বিড়ির টুকরোগুলো যেন মুচকি হেসে সে কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে৷



মন্তব্য চালু নেই