চুমু খান, চুলকানি কমান!

কোনটা বিশ্রি, প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া না কি রাস্তাঘাটে যেখানে-সেখানে হঠাৎ করে হাত বাড়িয়ে শরীরের এখানে-ওখানে চুলকানো? নচিকেতা আক্ষেপ করে গেয়েছিলেন ‘প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া এই দেশে অপরাধ, ঘুষ খাওয়া কখনওই নয়।’ তবে যে যাই-ই বলুক, যারা প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার জন্য হা-পিত্যেশ করছেন, তাদের জন্য সুখবর। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৩০ মিনিটের একটি জম্পেশ চুমু আপনাকে পথে-ঘাটে চুলকানোর হাত থেকে বাঁচাতে পারে!

বিজ্ঞানীরা বলছেন, অ্যালার্জির জন্য দায়ী শরীরের যে রাসায়নিক উপাদান ‘হিস্টামিন’, চুমু তার উৎপাদন কমিয়ে দেয় আর শরীরকে দেয় প্রশান্তি।

ব্রিটেনে প্রায় ১৩ মিলিয়ন মানুষের রয়েছে অ্যালার্জি সমস্যা, যাদের নাক ও চোখের নিচে এর প্রকোপ ভয়াবহ। শরীরের অন্য অংশে তো আছেই। রাস্তাঘাটে তারা বিব্রত হন।

চুমু খেলেই না কমে যাবে অ্যালার্জি, এ আবিষ্কার জাপানের সাতৌ হাসপাতালের ডাক্তার হাজিমে কিমিতার। আরও মজার ব্যাপার, এই কিস কা কিসসাই তাকে এনে দিল এ বছরের ইগ-নোবেল!

ওসাকাতে একটি অ্যালার্জি ক্লিনিক চালান কিমিতা। তার দাবি অ্যালার্জি হলে ওষুধ খাওয়ার বিশেষ দরকার নেই। দরকার নেই ঘ্যাস ঘ্যাস করে হাত-পা চুলকানোরও। ঘরের দরজা বন্ধ করে চালিয়ে দিন হালকা রোম্যান্টিক মিউজিক। তার সঙ্গে মিনিট তিরিশ পার্টনারকে জড়িয়ে ধরে জম্পেশ চুমু খান। ব্যাস, তা হলেই কেল্লাফতে। ম্যাজিকের মতো কমতে শুরু করবে আপনার চুলকানি!

নোবেল না জুটলেও ইগ-নোবেল পেয়েই বেশ খুশি কিমিতা। জাপানের লাফটার অ্যান্ড হিউমার স্টাডিসের সদস্য এই ডাক্তার জানিয়েছেন, তার এই অনুসন্ধান লোকের কানে পৌঁছেছে, তাতেই তার দিল খুশ। তবে যতই হাসাহাসি হোক না কেন, তার এই অনুসন্ধানের স্বীকৃতি কিন্তু সব মহল থেকেই মিলেছে।

এমনিতে চুমুর উপকারিতা নিয়ে এখন মেতেছে গোটা পৃথিবীর চিকিত্সা বিজ্ঞান। কিমিতার আবিষ্কার যে সেই মাতনে ইন্ধন যোগাবে তা বলাই বাহুল্য।

অ্যালার্জি আছে এমন ২৪ যুগলের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছিলেন কিমিতা। তাদেরকে বদ্ধ ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে ৩০ মিনিট চুম্বনরত থাকতে বলা হয়। সঙ্গে চালিয়ে দেয়া হয় এলটন জনস ও সেলিন ডিয়োনের বিখ্যাত কয়েকটি গান। আর চুম্বনের আগে ও পরে তাদের রক্ত পরীক্ষা করা হয়। হিস্টামিনের মাত্রা পরীক্ষায় টের পাওয়া যায় চুমুর কার্যকারিতা। তো, বেশি করে চুমু খান, রাস্তাঘাট চুলকানিমুক্ত রাখুন!



মন্তব্য চালু নেই