চীন-মিয়ানমার সীমান্তে যুদ্ধের ভয়ে পালাচ্ছে বাসিন্দারা

চীনের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মুসেতে রোববার সংঘর্ষে দুই বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। সীমান্ত চেকপয়েন্ট থেকে মানুষ এখন ভয়াবহ যুদ্ধের ভয়ে মুসে শহরে পালাচ্ছে বাসিন্দারা। জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রোববার সকাল থেকেই সংঘর্ষ শুরু হয়। এখানে নতুন করে সংঘর্ষ বেসামরিক নেতা অং সান সু কি’র দেশব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার আশার ক্ষেত্রে আরেকটি আঘাত।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ব্যাপক যুদ্ধের কারণে সীমান্তবর্তী চেকপয়েন্টের কাছাকাছি এলাকা থেকে লোকজন মুসে শহরে পালিয়ে আসছেন। তবে কোন কোন সংগঠনের মধ্যে যুদ্ধ হচ্ছে তা এখনও জানা যায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় হাসপাতালের এক কর্মী জানান, আজ সকালে গুলিবিদ্ধ এক নারী ও এক পুরুষকে হাসপাতালের আনার পর তাদের মৃত্যু হয়। এছাড়া আরো ২৫ জন আহত হয়েছে।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি (কেআইএ)’র মধ্যে ১৭ বছরের অস্ত্রবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর ২০১১ সালে উভয়পক্ষ আবারো যুদ্ধে লিপ্ত হয়। তাদের মধ্যে যুদ্ধে এক লাখেরও মতো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পার্শ্ববর্তী শান রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নেয়।

মুসে শহর শান রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত এবং কাচিন থেকে নগরীটি বেশি দূরে নয়। চীন ও মুসে শহর কেবল একটি নদী দ্বারাই বিভক্ত।

মিয়ানমারের চীন সংলগ্ন সীমান্তে কিছু বিদ্রোহী গ্রুপের সাথে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তুমুল লড়াই চলছে। তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি নামের একটি বিদ্রোহী গ্রুপের সাথে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দীর্ঘ বন্দুকযুদ্ধে অন্তত একজন নিহত এবং আরো বেশ কিছু লোক আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে চীনা বার্তাসংস্থা।



মন্তব্য চালু নেই