চীনে সু চি ও জিনপিং বৈঠক

মিয়ানমারের বিরোধীদলীয় নেতা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। চীন সফরের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে গ্রেট হলে মুখোমুখি হন তারা।

মিয়ানমারের ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেতা সু চি ও চীনের ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার (সিপিসি) সাধারণ সম্পাদক শি জিনপিং দ্বিপক্ষীয় নানা ইস্যুতে আলোচনা করেন। তবে বৈঠকের আলোচ্যসূচি নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া।

পাঁচ দিনের সফরে বুধবার চীনে পৌঁছান সু চি। রোববার পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। চীনে এটিই সু চির প্রথম সফর।

বিবিসি অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বেইজিং জানিয়েছে, সু চির সফরের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের এনএলডি ও চীনের সিপিসির মধ্যে সম্পর্ক আরো উন্নত হবে।

মিয়ানমারে সামরিক জান্তা ক্ষমতা নেওয়ার পর চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক তৈরি হয়। সরাসরি সামরিক শাসনের অবসান এবং দীর্ঘদিন গৃহবন্দিত্ব থেকে সু চিকে মুক্তি দেওয়ার পর মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্টতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেন। এর ফলে চীন ও মিয়ানমারের দূরত্ব কিছুটা বেড়ে যায়।

ধারণা করা হচ্ছে, আগামী নভেম্বরে মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এনএলডির সঙ্গে সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ট করার উদ্যোগ নিয়েছে চীন। কিন্তু সু চির জন্য সাংবিধানিকভাবে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়াতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সু চির ছেলেমেয়েরা বিদেশি নাগরিক হওয়ায় তার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

বুধবার মিয়ানমারের পার্লামেন্টে সংবিধান সংশোধনের বিল উত্থাপিত হয়। কিন্তু সু চির বিষয়ে কোনো সংশোধন আনা হয়নি।

একই বিলে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা কমানোর প্রস্তাব থাকলেও আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পার্লামেন্টের এক তৃতীয়াংশ আসন সেনা বাহিনীর জন্য সংরক্ষণের বিধান বহাল রাখা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই