চিলাহাটিতে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ : সমঝোতার চেষ্টা

হামিদা আক্তার বারী, ডিমলা করেসপন্ডেট, নীলফামারী : নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি মার্চেন্টস্ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপবৃৃত্তির টাকা আত্মসাৎ এবং বিতরণের বিরুদ্ধে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোতালেব হোসনে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, স্বাগতিক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোতালেব হোসেন দীর্ঘদিন ধরে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি ও সেচ্ছা চারিতার খবর পেয়ে আসছিল। কিন্তু কিছুতেই প্রধান শিক্ষক নিজেকে পরিবর্তন না করায় বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাগজ-পত্রাদি খতিয়ে দেখে অভিযোগের সত্যতা পান অভিযোগকারী এবং বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শ কাতর ও উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করায় তিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর ও সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গত ২৪ আগষ্ট (বুধবার) একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেন। অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়-প্রধান শিক্ষক সরকারি বিধি লংঘন করে ২২ জন রিপিটার শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান করেন। তদন্তে এর সংখ্যা আরো অনেক বেশি হতে পারে বলেও জানা যায় একটি নির্ভযোগ্য সূত্র জানায়। এছাড়াও শতকরা ৮৫ দিন উপস্থিতির বিষয়টিকেও প্রধান শিক্ষক গুরুত্ব দেননি। অভিযোগ পত্রে একই নামে ২ বার উপবৃত্তি বিতরণের তালিকাও রয়েছে, উপবৃত্তি উত্তোলন না করেও উত্তোলন দেখানো হয়েছে এমন তথ্যও রয়েছে।

1

এদিকে প্রধান শিক্ষক শাহ্ এরশাদুল হক বিষয়টিকে ধাঁমাচাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের সাথে যোগাযোগের পাশাপাশি আবেদনকারীকে নানাভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগকারী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরদিকে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের পর স্থানীয় সচেতন মহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠেছে।এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশে প্রধান শিক্ষক বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন বলেও এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এলকাবাসী ও অভিযোগকারীর দাবী সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে উক্ত প্রধান শিক্ষকের দৃষটান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেন।

2



মন্তব্য চালু নেই