চিনে নিন শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ফসফরাসের উৎসগুলো

ফসফরাস এমন একটি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যা কোষের কার্যক্রম সঠিক ভাবে পরিচালনা করে, ক্যালসিয়ামের ব্যবস্থাপনা, দাঁত ও হাড়কে শক্তিশালী করার জন্য, কিডনির কাজকে উন্নত করে এবং এটিপি(অ্যাডিনোসিন ট্রাই ফসফেট)তৈরিতে সাহায্য করে। এটিপি কোষকে শক্তি প্রদান করে।
শরীরে ফসফরাসের ঘাটতি হলে অ্যানেমিয়া, মাংসপেশীতে ব্যথা হওয়া, হাড়ের গঠন ঠিকমত না হওয়া(রিকেটস), অসাড়তা, ক্ষুধা কমে যাওয়া এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পরে। ফসফরাসের মাত্রা বেশি হয়ে গেলেও কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন- ক্যালসিয়াম ভারসাম্য রক্ষার জন্য হাড় থেকে রক্তে চলে যায়। এর ফলে হাড় দুর্বল হয়ে পরে এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গে ক্যালসিফিকেশন সৃষ্টি করে যা হার্ট অ্যাটাক ও রক্তনালীর রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পরামর্শ দেয়া হয়েছে যে, মাংস থেকে খুব সহজেই ফসফরাস শোষিত হয়। আপনি উদ্ভিজ্জ খাদ্য থেকেও অর্ধেকের মত ফসফরাস পেতে পারেন। ফসফরাসের শোষণ মানুষে মানুষে ভিন্ন হয়। হেলথ অ্যালিসিয়াসনেস ডট কমের মতে উদ্ভিজ্জ পুষ্টি উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য অনুকূল। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ফসফরাস গ্রহণের মাত্রা ৭০০ মিলিগ্রাম যা বিভিন্ন প্রকার নিরামিষ ও আমিষ জাতীয় খাদ্য থেকে পাওয়া যায়। আসুন তাহলে জেনে নিই ফসফরাসের উৎস গুলো সম্পর্কে।

১। গমের পাউরুটি
এক টুকরো গমের পাউরুটিতে ৫৭ মিলিগ্রাম ফসফরাস থাকে। তাই এটি আপনার খাদ্য তালিকায় সংযুক্ত করতে পারেন।

২। মুরগী
৭৫ গ্রাম মুরগীর কলিজায় ৩৭০ মিলিগ্রাম ফসফরাস থাকে। প্রাত্যহিক চাহিদা পূরণের জন্য গমের পাউরুটি অথবা বাদামের সাথে খেতে পারেন মুরগীর কলিজা।

৩। মাছ
৭৫ গ্রাম মাছে ২৩৮ মিলিগ্রাম ফসফরাস থাকে যা দৈনিক চাহিদার এক তৃতীয়াংশ পূরণে সক্ষম।

৪। পনির
পিজা বা পাস্তার সাথে পনির যোগ করলে কেবল সুস্বাদুই হয়না বরং ফসফরাস ও সরবরাহ করে। ৫০ গ্রাম পনিরে ২৩২=৩০২ মিলিগ্রাম ফসফরাস থাকে।

৫। কুমড়ার বীচি
ক্ষুধার্ত অনুভব করছেন? ১০০ গ্রাম কুমড়ার বীচি খেয়ে নিন। এটি শুধুমাত্র ক্ষুধা নিবারণ কারীই নয় বরং ১০০ মিলিগ্রাম ফসফরাস ও সরবরাহ করবে।

৬। কাঠবাদাম
এক কাপের চার ভাগের এক ভাগ পরিমাণ কাঠবাদাম খেলে ২০০ মিলিগ্রাম ফসফরাস পাওয়া যায়।

৭। মটরশুঁটি
আপনার খাদ্যতালিকায় শিমের বীচি বা মটরশুঁটি রেখে ফসফরাসের উপকারিতা লাভ করতে পারেন। একটি বাটির চার ভাগের তিন ভাগ পরিমাণ মটরশুঁটি বা ছোলা খেলে ২০৪ গ্রাম ফসফরাস পাওয়া যায়।
এছাড়াও খোসাসহ রান্না করা আলুতে ১২১-১৩০ মিলিগ্রাম, মাশরুমে ১২৪ মিলিগ্রাম, ৩/৪ কাপ রান্না করা ওটমিলে ১৩৮-১৭৭ মিলিগ্রাম, এক কাপ দুধে ২১৭-২৭২ মিলিগ্রাম ৩/৪ কাপ দই এ ২৩৮-২৪৬ মিলিগ্রাম, রান্না করা ২টি বড় ডিমে ১২৬-১৫৭ মিলিগ্রাম ফসফরাস পাওয়া যায়।



মন্তব্য চালু নেই