চায়ের সঙ্গে কোন বিস্কুট সেরা?

ধোঁয়া ওঠা গরম চায়ের মধ্যে বিস্কুট চুবিয়ে খাওয়ার প্রচলন বেশ পুরোনো। বিশ্বের অনেক অঞ্চলের মানুষের মধ্যে এই অভ্যাস দেখা যায়। তাঁরা মনে করেন, বিস্কুট ছাড়া চা যেন ঠিক জমে না।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, চায়ে চুবিয়ে খাওয়ার জন্য কোন বিস্কুট সবচেয়ে উপযোগী? এ ক্ষেত্রে টোস্ট বিস্কুটের নামটাই প্রথমে মনে পড়ে। তবে সঠিক উত্তরের খোঁজে যুক্তরাজ্যের একদল বিজ্ঞানী রীতিমতো গবেষণা চালিয়েছেন। এতে শীর্ষস্থান পেয়েছে ‘রিচ টি’ নামের বিস্কুট। কারণ, এটি গরম চা বা কফিতে ১৪ বার চুবানোর পরও আস্ত থাকে। সেই তুলনায় অন্যান্য বিস্কুট চায়ের সংস্পর্শে আরও আগেই ভেঙে পড়ে। ‘জিনজার নাটস’, ‘ডাইজেস্টিভস’ ও ‘হবোনবস’ বিস্কুট যুক্তরাজ্যে বেশ জনপ্রিয় হলেও এগুলো গরম চায়ে মাত্র দুবার চুবালেই ভেঙে যায়।

যুক্তরাজ্যে আজ পালিত হচ্ছে জাতীয় বিস্কুট দিবস। এ উপলক্ষে ম্যাকভাইটিজ ব্র্যান্ডের বিস্কুট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ওই গবেষণার উদ্যোগ নেয়। বিবিসি রেডিওর সাপ্তাহিক ‘লাইফ সায়েন্স’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ডা. ফার্ডিনান্ড বলেন, গরম চায়ে বিস্কুট চুবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস একধরনের শিল্প। ব্রিটেনে এর সাংস্কৃতিক গুরুত্ব রয়েছে। তাই এভাবে খাওয়ার জন্য সেরা বিস্কুট খুঁজে বের করাটা অবশ্যই দরকার।

দুই হাজার মানুষের ওপর পরিচালিত ওই গবেষণায় আরও দেখা যায়, চায়ে চুবিয়ে বিস্কুট খাওয়ার প্রবণতা যুক্তরাজ্যে বাড়ছে। ৫৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষের চেয়ে তরুণদের মধ্যে এ অভ্যাস ২০ শতাংশ বেশি। জরিপে অংশগ্রহণকারী ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের ৮২ শতাংশই চায়ে চুবিয়ে বিস্কুট খান। আর তাঁদের ২৪ শতাংশ প্রতিদিনই এভাবে বিস্কুট খান।

কোন পেশার মানুষ কী রকম বিস্কুট পছন্দ করেন, তার অনুসন্ধান করে গবেষকেরা দেখতে পান, ব্যাংকারদের কাছে ‘জাফা কেকস’ বিস্কুটের কদর বেশি। আইনজীবীরা ‘মিল্ক চকলেট’ ভালোবাসেন। দমকল বাহিনীর সদস্য, পুলিশ, ডাক্তার, নার্স ও শিক্ষকদের পছন্দ ‘চকলেট ডাইজেস্টিভ’। জরিপে দেখা যায়, চায়ে চুবিয়ে খাওয়ার জন্য ৩৪ শতাংশের পছন্দ ‘ডাইজেস্টিভ’। এ ক্ষেত্রে ‘রিচ টি’ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ব্যাংকারদের মধ্যে চায়ে ডুবিয়ে বিস্কুট খাওয়ার অভ্যাস সবচেয়ে বেশি।

ম্যাকভাইটির ব্র্যান্ড ডিরেক্টর ক্যারি ওয়েনস বলেন, এক কাপ চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়াটা মানুষের জীবনের সহজলভ্য একটি আনন্দ। চা পান করাটা একটা পুরোনো ঐতিহ্যও বটে। জাতীয় বিস্কুট দিবসের লক্ষ্য ভালো বিস্কুট পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে জনসাধারণের মুখে হাসি ফোটানো। এতে করে তাঁদের প্রতিদিনের আয়েশি মুহূর্তটা আরেকটু বেশি আনন্দময় হতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই