চাষী নজরুলের চিকিৎসার ভার নিলেন খালেদা

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও একুশে পদকজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা চাষী নজরুল ইসলামের চিকিৎসা ভার নিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। চাষী নজরুল দুরারোগ্য লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত।

বুধবার রাত সোয়া ৯টায় চাষী নজরুল ইসলামের স্ত্রী জোৎস্না কাজী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় বিএনপি চেয়ারপারসন তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসার সব দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

তিনি চাষী নজরুলের চিকিৎসার সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখার জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং তার উপদেষ্টা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

সাক্ষাতের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- চেয়ারপারনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জাসাসের সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক।

উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে পেটে ভীষণ ব্যথা অনুভূত হওয়ায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের ভর্তি হন চাষী নজরুল ইসলাম। চিকিৎকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়েছেন, তার পেটে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। তিনি ক্যানসার বিশেষজ্ঞ (অনকোলজিস্ট) প্রফেসর সৈয়দ আকরাম হোসেনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। বুধবার তিনি বাসায় ফিরেছেন।

বর্তমানে ৭৩ বছর বয়সী এই চলচ্চিত্র পরিচালক ১৯৬১ সালে ফতেহ লোহানীর ‘আছিয়া’ সিনেমার সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন। তারপর পরিচালক ওয়াহেদ-উল-হকের সঙ্গেও বেশ কিছুদিন সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন।

চাষী নজরুল ইসলাম নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র। তারপর তিনি ‘সংগ্রাম’, ‘ভালো মানুষ’, ‘বাজিমাত’, ‘বেহুলা লক্ষিন্দর’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘হাসন রাজা’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘শাস্তি’, ‘সুভা’র মতো সিনেমা নির্মাণ করেছেন। ১৯৮২ সালে বুলবুল-কবরী-আনোয়ারাকে নিয়ে ‘দেবদাস’ নির্মাণ করেছিলেন। ২০১৩ সাল এসে শাকিব খান-অপু বিশ্বাস-মৌসুমীকে নিয়ে আবারও বানান সিনেমাটি।

১৯৮৬ সালে ‘শুভদা’, ১৯৯৭ সালে ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ২০০৪ সালে পেয়েছেন একুশে পদক।



মন্তব্য চালু নেই