‘চালকদের বাড়তি ট্রিপের লোভেই সড়কে এত প্রাণহানি’

সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মহাসড়কে গাড়ির বেপরোয়া গতির কারণেই এবার ঈদের সময় এত মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। অতিরিক্ত ট্রিপ দেয়ার লোভে চালকরা অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়েই এতগুলো মানুষকে অকালে ঝড়ে যেতে হলো। এর দায় আমাদের সবাইকে নিতে হবে। আমরা কেউ এর দায় এড়াতে পারি না।’ মন্ত্রী বলেন, ‘মহাসড়কে গাড়ি চালানোর একটা নির্দিষ্ট গতি রয়েছে। অনেক সময়ই চালকরা তা না মানায় যাত্রীবাহী বাসগুলোকে দুর্ঘটনায় পড়তে হয়েছে।’

আজ রবিবার বিআরটিএর এলেনবাড়ি (তেজগাঁও) কার্যালয়ে ঈদ-পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী এসব মন্তব্য করেন।

প্রতি বছরই ঈদযাত্রা ও কর্মস্থলে ফেরার সময় সড়কে মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এবার ঈদের আগে ও পরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় দেড় শ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘এর আগে মহাসড়কে অনেকগুলো ব্ল্যাক স্পট চিহিৃত করে সেখানে আমরা অনেক কাজ করেছি। গাড়ি যাতে নির্বিঘ্নে চলতে পারে সে জন্য ব্যাপক সংস্কারকাজ করা হয়েছে সেই স্পটগুলোতে। এবার সেসব ব্ল্যাক স্পটে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেছে কি না তা আমার জানা নেই। তবে আমরা পুরো বিষয়টি আবার পর্যালোচনা করে দেখব। যদি এ রকম কিছু থাকে তাহলে আমরা তা নিরসন করার চেষ্টা করব।’

ওবায়েদুল কাদের বলেন, ঈদের পর মহাসড়কে দুর্ঘটনাগুলো বেশির ভাগই চালকদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে হয়ে থাকে। অতিরিক্ত ট্রিপ দেয়ার জন্য চালকেরা অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালায়। এবার বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটেছে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর জন্য।

দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা উল্লেখ করে যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ঈদের পর মহাসড়কে একের পর এক দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মহাসড়কের ব্ল্যাক স্পটগুলোর জন্য যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে সেগুলো চিহ্নিত করা হবে। কোথাও কোনো ঘাটতি থাকলে তা খুঁজে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই