চামড়ায় ধরা মৌসুমী ব্যবসায়ীরা!

কোরবানির পশুর চামড়া কিনে এবার ধরা খেয়েছেন মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা। বরাবরের মত মৌসুমী ব্যবসায়ীদের দখলে এবারো ছিলো চামড়া বাজার। তার পরেও তারা সুবিধা করতে পারে নি।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়ার বাজার নষ্ট করেছে। তারা বেশি লাভের আসায় অধিক দরে চামড়া কিনেছে। তাদের দামের কাছে আমরা ভিড়তে পারি নি। আমারা চামড়া ১২শ টাকা দাম বল্লে তারা ১৪ থেকে ১৫শ টাকা দাম বলে। এতে করে আমরা সুবিধা করতে পারি নি।

সাধারণ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ করেন, ঈদের দিন সকাল থেকেই মৌসুমি ব্যবসায়ীরা পাড়া-মহল্লায় ঢুকে বেশি দামে চামড়া কিনেতে শুরু করে। এতে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ঢুকতে না পাড়ায় তারা দেড় থেকে আড়াই হাজার টাকা দরে গরুর চামড়া কিনেন। ছাগলের চামড়া কিনেন ২শ থেকে ৩শ টাকা দরে।

কিন্তু সেই চামড়া রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে বসা অস্থায়ী চামড়ার হাটে পাইকারদের কাছে বিক্রি করতে গিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েন। তারা আড়তে গিয়ে সর্বোচ্চ ১৩শ টাকা দাম শুনে হতাশ হন।

লোকসানে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা আবদুর সালাম জানান, আমি অন্যান্য সময় সব্জির ব্যবসা আর লিখা পড়া করি। ঈদের সময় কেনো বসে থাকবো তাই চামড়া ব্যবসায়ীদের সাথে ব্যবসা করি। তিনি প্রতিটি গরুর চামড়া কিনেছিলেন এক হাজার ৫শ থেকে দুই হাজার ১৮শ টাকা দরে।

তিনি আরো বলেন, আড়ৎদাররা দাম বলতে চাইনা। আমি ৪৫টা গরুর চামড়া ও ২৫টা ছাগলের চামড়া কিনে ছিলাম। পরে তাদের হাত পা ধোরে চামড়া বিক্রি করে আসি। আমার ১২ হাজার টাকা এবার লোকসান হয়েছে।

রাজশাহীর পুঠিয়ার চামড়া ব্যবসায়ী আবদুর রহমান জানান, মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত দামের চেয়ে আড়াইশ’ থেকে পাঁচশ’ টাকা বেশি দামে চামড়া কিনেছেন মাঠ থেকে। কিন্তু বিক্রি করতে গিয়ে সেই দাম পান নি তারা। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন এসব মৌসুমি বিক্রেতা।

রাজশাহী জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আসাদুজ্জামান জানান, এবার কোরবানির ঈদে রাজশাহীতে প্রায় ৬০ হাজার গরু ও ছাগলের চামড়া সংগ্রহ করা হয়।

তবে এ পর্যন্ত সাধারণ ব্যবসায়ীরা ২৫ হাজার গরু ও ৩০ হাজার ছাগল ও ভেড়ার চামড়া কিনেছেন। বাকি চামড়া এখনও সংগ্রহ করতে পারেননি নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত হওয়ার কারণে।



মন্তব্য চালু নেই