চান্দিনায় ব্যাপক গোলাগুলি, ২ জেএমবি সদস্য আটক

চান্দিনায় বোমাসহ ২ জেএমবি সদস্য আটক হয়েছে। সেখানে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। ২৪ রাউন্ড গুলি বর্ষণ হয়। কুমিল্লার চান্দিনায় বোমা ও ছুরিসহ জসিম (২২) ও হাসান (২৪) নামে জেএমবি’র দুই সদস্যকে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ।

মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের তীরচর এলাকার ২৪ রাউন্ড গুলি বর্ষণের পর তাদেরকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে জসিম নামে এক জেএমবি সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়।

আটক জেএমবি সদস্য হাসান চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাট গ্রামের মৃত মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে এবং জেএমবি হাসানের পরিচয় পাওয়া যায়নি। হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির ইন-চার্জ (এসআই) মনিরুল ইসলাম জানান, মহাসড়কের চলাচলরত অধিক গতিসম্পন্ন গাড়ি চিহ্নিতকরণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলার কুটুম্বপুর এলাকায় অভিযান চলছিল।

ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির সার্জেন্ট কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ওই অভিযান চলাকালীন সময়ে সকাল সোয়া ১১টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহণের একটি বাসের অধিক গতি চিহ্নিত হয়। পুলিশ গাড়িটি ধাওয়া করে আটক করার পর বাস থেকে নেমে আসা যাত্রীবেশী দুই জেএমবি সদস্য আল্লাহু আকবার ধ্বনী দিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়ে।

ভাগ্যবশত ওই বোমা বিস্ফোরিত না হওয়ায় পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া শুরু করলে তারা বোমা ছোঁড়া অবস্থায় দৌঁড়ে গ্রামের ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। প্রায় ২০ মিনিট প্রচেষ্টায় ২৪ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করে।

এসময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জসিমকে এবং হাসান নামে আরও এক জেএমবি সদস্যকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪টি বোমা ও ১টি ধারালো ছুড়ি উদ্ধার করা হয়। হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট কামাল হোসেন জানান, আমরা গতি নিয়ন্ত্রণে গাড়িটি ধাওয়া করলেও বাসে থাকা জেএমবি সদস্যরা তাদেরকে সন্দেহ করে আটকের বিষয়টি ভেবে আমাদের উপর হামলার চেষ্টা করে।

গুলিবিদ্ধ জেএমবি সদস্য জসিমকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় অপর জেএমবি সদস্য হাসানকে পুলিশ হেফাজতে চান্দিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এদিকে ঘটনার পরপর হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চল সুপার রেজাউল করিম, জেলা পুলিশ সুপার শাহ্ মো: আবিদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।



মন্তব্য চালু নেই