চাটমোহরে ৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক বিজয়ী

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরে গতকাল শনিবার ৫টি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে সবকটি ইউনিয়নে দলীয় মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীক বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এ গুলো হলো, ফৈলজানা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন মোঃ হানিফ উদ্দিন, মূলগ্রাম ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক মোঃ রাশেদুল ইসলাম বকুল, পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক মোঃ আজাহার আলী, ডিবিগ্রাম ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক মোঃ নবীন উদ্দিন মোল্লা ও মথুরাপুর নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারি ভবে বিজয়ী হয়েছেন সরদার আজিজুল হক।

৫টি ইউনিয়নের চেয়রম্যান পদে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী নৌকা প্রতীক বিজয়ী হলে বিএনপি দলীয় প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক ভরাডুবি হয়েছে। তবে প্রায়ইশ সব ইউনিয়নের কমবেশী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের গুলিতে এক বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছেন। বিজিবি নায়ের সুবেদার নুরুল ইসলামসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। নিহত ইমদাদুল হোসেন (৩২) বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে ওই কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণায় দেরি হওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এ সময় তারা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে এবং আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর একটি গাড়ি হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এদিকে কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স বের করে নিয়ে যাবার সময়ে বিক্ষুদ্ধরা বাধা দিতে গেলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা তাদের প্রতিহত করতে গুলি চালায়। এ সময় গুলিতে ইমদাদুল হোসেন নিহত হন।

এদিকে সবকটি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হওয়ায় বিএনপি দলীয় মনোনীত প্রার্থীরা বলছেন নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। এ নির্বাচন ভোট কারচুপি হয়েছে। যার কারণে অনেক কেন্দ্রেই সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ দিতে হলো এক জনকে।



মন্তব্য চালু নেই