নোয়াখালীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ছাত্রদল নেতা নিহত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কানসাটে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মতিউর রহমান (২২) নামে এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মতিউর জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের বাজিতপুর গুহিপাড়া গ্রামের মন্টু আলীর ছেলে।
আটককৃত হযরত একই উপজেলার চর চৌধুরীপাড়া গ্রামের তৈয়মুর রহমানের ছেলে ও শ্যামল জহুরপুর এলাকার মূখার্জির ছেলে।
র‌্যাব-৫ চাঁপাইনবাবগঞ্জের কোম্পানি কমান্ডার মেজর কামরুজ্জামান পাভেল জানান, বৃহস্পতিবার শিবগঞ্জে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় শ্যামপুর নারী কল্যাণ স্কুলের কাছে থেকে মতিউর ও পরে হযরত (১৮) ও শ্যামল (১৮) নামে দুই জনকে আটক হয়।
পরে তাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার সময় কানসাট বাজার এলাকায় গেলে সেখানে অবস্থানকারী মতিউরের অপর সহযোগীরা র‌্যাবের ওপর গুলি ছোড়ে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ার সময় আটককৃত মতিউর পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় উভয়পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে মতিউর নিহত হন। সেখান থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি রিভালবার, ২টি এলজি বন্দুক, ২টি ওয়ান সুটারগান, ৫ রাউন্ড গুলি, ৩টি ম্যাগজিন, ১৭টি ককটেল, ১০টি পেট্রোলবোমা ও ৫টি বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে মতিউরের লাশ শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শিবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লা আল ফারুক কুইজ জানান, নিহত মতিউর রহমান শ্যামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ছিল।
বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হারুন অর রশীদ হারুন নিহত মতিউরকে তাদের ছাত্রদলের সাবেক কর্মী বলে দাবি করেন।
আটককৃতরা জিজ্ঞাসাবাদের জানায়, শিবগঞ্জের কানসাট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ, ট্রাকে অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন নাসকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত।

নোয়াখালীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মোরশেদ আলম পারভেজ নামে এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সোনাপুর গ্রামের তেমুহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোরশেদ আলম পারভেজ (২৪) উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের কবিরাজ বাড়ির আলমগীর হোসেনের ছেলে। তিনি আমিশাপাড়া কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে সোনাপুর বাজার থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিল পারভেজ। এ সময় লক্ষ্মীপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান বাহিনীর সদস্য ও যুবলীগের নামধারী ক্যাডার জাকির হোসেনের সন্ত্রাসী বাহিনী সড়কের উপর দড়ি দিয়ে পারভেজের গাড়ির গতিরোধ করে। এ সময় তারা পারভেজকে লক্ষ্য গুলি করলে পারভেজ গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়।
খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে পুলিশ তেমুহনী এলাকার সড়কের পাশের একটি ক্ষেত থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পারভেজের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
সোনাইমুড়ী উপজেলা যুবদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন জানান, মোরশেদ আলম পারভেজ ইউনিয়ন ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, অবরোধকে ঘিরে সোনাপুর বাজারে পিকেটিংকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের কয়েকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এর সূত্র ধরেই প্রতিপক্ষের হামলায় পারভেজ নিহত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোনাইমুড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মফিজ জানান, নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পেটের নিচে ও মাথায় গুলির চিহ্ণ রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই