চরফ্যাশন সরকারী কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ১০

চরফ্যাশন প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশন সরকারী কলেজে কমিটি গঠনের জের ও আধিপত্ত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া কম পক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১জনকে শেবাচিম হাসপাতালে হাসপাতারে প্রেরন করা হয়েছে। বাকিদের চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার(২আগস্ট) দুপুর ১২ টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিকে ক্যাম্পাস দুই গ্রুপের অস্ত্র নিয়ে মহড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরছে সাথারন ছাত্র-ছাত্রী মধ্যে। পুলিশ ক্যাম্পাস থেকে বেশ কিছু দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। অভিযোগ রয়েছে কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের পেছনে সেল্টার দাতারা হচ্ছেন উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি ইউছুফ হোসেন ঈমন ও সাবেক স্বেচ্ছাসেক লীগ সভাপতি সোলায়মান।

সংঘর্ষের বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ কায়সার আহমেদ দুলাল জানান, এটা কলেজের কোন বিষয় নয়। ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বিষয় ছিল। তবে এদের এমন সংঘাতময় পরিস্থিতির জন্য কলেজের স্বাভাবিক লেখা-পড়ার সুন্দর পরিবেশর বিঘ্ন ঘটে। এজন্য একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) এনামুল হক জানান, আধিপত্ত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত। পুলিশের অভিযানে ক্যাম্পাস এলাকা থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ৭টি কিরিস (পাতলা রামদা), বেশ কিছু লোহার রড উদ্ধার করা হয়।এ ঘটনায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার করা হয়নি।

কলেজ সূত্র জানায় গত ৬ ডিসেম্বর সম্মেলন ও গোপন ব্যালটের মাধ্যমে চরফ্যাসন সরকারী কলেজের ছাত্রলীগের কমিটি গঠন হয়। ওই সময় শিপন সভাপতি. আমিনুল সম্পাদক নির্বাচিত হয়। এরা হচ্ছে সাবেক ছাত্রলীগের সম্পাদক সোলায়মান গ্রুপের। এদিকে বতমান সভাপতি ঈমনের গ্রুপের রাফি ও ছোটন মুন্সি পরাজিত হয়। একমিটিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব গত কয়েক মাস ধরেই চলছে। একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হলে প্রতিদিন উভয় গ্রুপই ক্যাম্পাসে মহড়া দেয়ার চেস্টা করে।

মঙ্গলবার রাফি ও ছোটন বহিরাগত স্কুল ও মাদ্রসার ছাত্রদের নিয়ে ক্যাম্পাসে আসে এমন প্রচারণা চালায়। এসময় শিপন তাদের বাধা দেয়। এনিয়েই তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। আহতদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাহিদ, জোবায়ের, মনির, রাকিব, জোবার হোসেন।

এদিকে সংঘর্ষে দ্বিতীয় বর্ষেও ছাত্র নাঈমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশালে শেরে ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এরির্পোট লেখা রাত ৮ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে ধমধমে অবস্থা বিরাজ করছিল। আবারও বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্ক করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।



মন্তব্য চালু নেই