চট্টগ্রামে আ.লীগ কার্যালয়ে হামলা

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে দক্ষিণ জেলা কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর লালদীঘির পাড়স্থ কার্যালয়ে হামলা চালায় নেতাকর্মীরা।

এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলি চালায় পুলিশ। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় ৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে আহতদের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

এদিকে, সংর্ঘষ চলাকালে পুরো লালদীঘি এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আশে পাশের দোকানপাট এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন জানান, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনোয়ারা ও কর্ণফুলী থানা এলাকায় চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীদের মনোনয়ন পাওয়া না পাওয়াকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে দুই এলাকার কর্মী সমর্থকরা সংর্ঘষে লিপ্ত হয়। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শুক্রবার কার্যালয়ে আনোয়ারা উপজেলা ও কর্ণফুলী থানার চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নামের তালিকা ঘোষণার কথা ছিল। পরে তা বাতিল করা হয়। এ অবস্থায় বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ আনোয়ারা ও কর্ণফুলী থানা থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।

সংর্ঘষে লিপ্ত এবং হামলাকারীরা চট্টগ্রামের আনোয়ারা-কর্ণফুলী এলাকার সংসদ সদস্য ও ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের অনুসারী বলে জানান তিনি।

কর্ণফুলী থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম হৃদয় জানান, তৃণমূল পর্যয়ে এবং থানা পর্যায়ে মনোনীত এমপি সমর্থিত মেম্বার এবং চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বাদ দিয়ে বাইরের কিছু প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হচ্ছে এমন সংবাদে আজ সকালে কর্ণফুলী এবং আনোয়ারা উপজেলা নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। হয়তো কিছু বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মী হামলা করেছে। তবে পুলিশের গুলিতে ৫/৬ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে শুনেছি।

উল্লেখ্য ইউনিয়ন পরিষদের মনোনয়ন নিয়ে চট্টগ্রাম জুড়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে।

গত মঙ্গলবার বোয়ালখালীর ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য মনোনয়নকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে তিনজন আহত হন। এ ঘটনার রেশ ধরে পর দিন বোয়ালখালী উপজেলায় দুই গুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন।



মন্তব্য চালু নেই