চট্টগ্রামের সঙ্গে যুক্ত হতে সেতু বানাচ্ছে ভারত

বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতকে সংযুক্ত করতে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। ত্রিপুরায় ফেনী নদীর ওপর ওই সেতু তৈরির কাজ এরই মধ্যে শুরু করেছে ভারত। দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তারা শনিবার এ তথ্য জানান। তাঁদের ভাষ্য, এই সেতুর মাধ্যমে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য এবং অপর অঞ্চলগুলোর মধ্যে ভারী যন্ত্রপাতি ও মালামাল আনা-নেওয়া করা হবে। এ জন্য চট্টগ্রাম বন্দরও ব্যবহার করা হবে।

গত বছরের ৬ ও ৭ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফর করেন। ওই সময় তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সঙ্গে নিয়ে ফেনী সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, এর আগে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিতে ভারতের সঙ্গে একমত হয় বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের দক্ষিণ সীমান্ত শহর সাবরুমের দূরত্ব মাত্র ৭২ কিলোমিটার।

ত্রিপুরার সরকারি বিভাগ পিডব্লিউডির মহাসড়ক অংশের প্রধান প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস সাংবাদিকদের বলেন, উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য ও ভারী যন্ত্রপাতি বহনের বিস্তারিত প্রতিবেদনসহ (ডিপিআর) সেতু তৈরির প্রাথমিক কাজ শেষ করেছে ভারত। প্রয়োজনীয় অর্থের জন্য এই ডিপিআরে কিছু পরিবর্তন এনে আগামী সপ্তাহেই তা ভারতের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।

ভারতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই লেনের সেতু এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংযোগ সড়ক নিজেদের খরচে তৈরি করতে চায় নয়াদিল্লি। সেতু ও সংযোগ সড়ক তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হবে ত্রিপুরার পিডব্লিউডিকে।

দীপক রঞ্জন দাস বলেন, দরপত্র চূড়ান্ত হওয়ার পর, ১৫০ ফুট দীর্ঘ সেতু এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি করতে আড়াই বছর সময় লাগতে পারে।

ত্রিপুরা পিডব্লিউডির মন্ত্রী বাদল চৌধুরী বলেন, প্রাথমিক নির্মাণ ও অবকাঠামোর কাজ চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশ ও ভারতের একদল জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সম্প্রতি সাবরুম ও রামগড় (বাংলাদেশের) পরিদর্শন করেছেন।

বাদল চৌধুরী আরো বলেন, সেতুটি তৈরি করতে ৯৪ কোটি রুপি খরচ হবে। আর সেতুটি শুধু ভারতই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বাণিজ্যও সহজ করবে।

হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, গত বছরে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়। যেখানে বলা হয়েছে, ভারত থেকে পণ্য আনা-নেওয়ায় চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেবে বাংলাদেশ।

বাদল চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকা ভারতকে ট্রানজিট সুযোগ দিলে আমরা বাংলাদেশের চট্টগ্রামসহ অন্যান্য বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল এবং অন্যান্য অঞ্চলসহ দেশের বাইরেও ভারী যন্ত্রপাতি ও পণ্য পরিবহন করতে পারব। এতে খরচ কমার পাশাপাশি সময় কম লাগবে।’ তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ট্রানজিট নিকট ভবিষ্যতে বাস্তবায়িত হবে।

1465712180-India-bd-2



মন্তব্য চালু নেই