ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয়জনের বিচার শুরুর নির্দেশ

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের জামায়াতের সাবেক সাংসদ আব্দুল আজিজ ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ পলাতক ছয়জনের বিরুদ্ধে তিনটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) উপস্থাপন ও রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউশনের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২ আগস্ট দিন ঠিক করা হয়েছে। প্রসিকিউটর হায়দার আলী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রুহুল আমিন ওরফে মঞ্জু, মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ, আবু মুসলিম মো. আলী, মো. নাজমুল হুদা ও মো. আব্দুর রহিম মিয়া।

তাদের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জ এলাকায় হত্যা, গণহত্যা, আটক, নির্যাতন, অপহরণ ও লুণ্ঠনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামি ছয়জনই পলাতক।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। অপরদিকে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট গাজী তামিম।

এর আগে গত ১৬ জুন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর আব্দুল আজিজসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে তদন্ত সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ, অগ্নিসংযোগের তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর আবদুল আজিজসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। তবে এখন পর্যন্ত ছয়জনই পলাতক।

২০০৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সুন্দরগঞ্জের পাঁচগাছী শান্তিরাম গ্রামের মৃত আলম উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমান সরকার বাদী হয়ে জামায়াত নেতা আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধকালে আজিজার রহমানের বড় ভাই ফয়েজ উদ্দিনকে নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগে ওই মামলাটি করা হয়। অপরদিকে ধর্মপুর গ্রামের আকবর আলীকে হত্যার অভিযোগে জামায়াত নেতা আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন আনিছুর রহমান। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে।

গত বছরের ২০ নভেম্বর সাবেক এমপি আবদুল আজিজের অপরাধ তদন্তে কাজ শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।



মন্তব্য চালু নেই