ঘোষণাপত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে আইসিটি খাত

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আধুনিক, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তৈরি করা হচ্ছে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের ঘোষণাপত্র। তবে এবারের ঘোষণাপত্রে আইসিটি খাত সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর দলটির জাতীয় সম্মেলনে এ ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করা হবে।

সূত্র জানায়, ঘোষণাপত্রের প্রথমভাগে থাকবে আওয়ামী লীগ সরকারের ২০০৮ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যেসব উন্নয়ন কাজ করা হয়েছে তার চিত্র ও সরকারের চলমান ‘মেগা প্রকল্প’গুলোর তুলনামূলক চিত্র। আগামীতে সরকার কী ধরনের উন্নয়ন কাজ হাতে নেবে তার তালিকা। বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের শুধু উন্নয়ন নয়, কল্যাণমূলক কাজও উঠে আসবে এই ঘোষণাপত্রে।

ঘোষণাপত্রে গুরুত্বসহকারে তুলে ধরা হবে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা খাতের সফলতা। তার মধ্যে থাকবে খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা ও সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা।

এবারের ঘোষণাপত্রে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে তা হচ্ছে, বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ তরুণ ও আইসিটি খাত। জনগোষ্ঠীর ৭০ শতাংশ তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কাজে লাগানোর নির্দেশনা থাকবে ঘোষণাপত্রে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে তরুণ সমাজকে বেকারত্বের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কী পরিকল্পনা হাতে নেয়া হবে থাকবে তার পরিকল্পনা। দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের হাতে নেয়া ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কর্মপরিকল্পনা বিস্তারিত থাকবে।

কৃষিখাতের আগামী দিনের পরিকল্পনা থাকবে ঘোষণাপত্রে। কিভাবে কৃষির বহুমুখীকরণ ও সহজীকরণ করা যায়। উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি উৎপাদনের খরচ হ্রাস করা। কৃষিপণের বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন করা।

সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার বিষয়গুলোকে গুরুত্ব সহকারে স্থান দেয়া হবে সংক্ষিপ্ত এই ঘোষণাপত্রে। ২০০৮ সালের ঘোষণাপত্রে মিলেনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোল বা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বিষয়গুলো স্থান পেয়েছিল। তার অনেকাংশই অর্জিত হয়েছে ধরে নিয়ে ২০তম জাতীয় সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোল (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হবে।

সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত ঘোষণাপত্র উপ-পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ থেকে উচ্চ আয়ের দেশ গঠনের পাশাপাশি কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়গুলোকে জোর দেয়া হবে। তবে ঘোষণাপত্রের বিষয়গুলো প্রস্তাবিত আকারে আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে জমা দেবেন উপ-পরিষদ সদস্যরা। পরে বিষয়গুলো নিয়ে ঘোষণাপত্রের একটি খসড়া তৈরি করে দলীয় প্রধানের সম্মতি নিয়ে সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য চূড়ান্ত করা হবে।

এ বিষয়ে ঘোষণাপত্র উপ-কমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনসহ রূপকল্প-২০৪১ সালকে সামনে রেখে ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করবে আওয়ামী লীগ। ঘোষণাপত্র উপ-কমিটির একজন সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগের আগামী ঘোষণাপত্র হবে খুবই চমৎকার। ঘোষণাপত্র সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের হাইলাইটস থাকবে। থাকবে আগামী দিনের পরিকল্পনা।খবর জাগো নিউজের।



মন্তব্য চালু নেই