ঘুড়ি আর ফানুস উৎসবে মাতলো রাজশাহীবাসী

রাজশাহী ব্যুরো প্রধান: রাজশাহী নগরবাসী এই প্রথমবারের মতো ঘুড়ি আর ফানুস উৎসবে মাতলো। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় নগরীর পাঠানপাড়া লালন শাহ মুক্ত মঞ্চে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।

ই-মেকার অ্যান্ড কমিউনিকেশন নামের রাজশাহীর একটি সংগঠন এই উৎসবের আয়োজন করে। এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৩৭টি ও রাজশাহী কলেজের ২৭টিসহ রাজশাহীর প্রায় শতাধিক ইয়ুথ অর্গানাইজেশনের সদস্যরা অংশ নেন।

এ উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) সাবেক মেয়র ও নগর আ.লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি চৌধুরী ড. সরোওয়ার জাহান সজল।

এ দিন বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ওড়ানো হয় প্রায় ১০০টি ঘুড়ি। লাল, নীল, হলুদ আর আকাশী রঙের হরেক রকমের ঘুড়িতে ভরে ওঠে লালন শাহ মুক্তমঞ্চের আকাশ। স্বাভাবিক ঘুড়ির পাশাপাশি চিল, বাজ ও লক্ষীপেঁচার আদলে তৈরী করা ঘুড়ি গুলো দেখেও বিমোহিত হন দর্শনার্থীরা। এসব ঘুড়ি ওড়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

স্বাধীনতার ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওড়ানো হয় ৪৫টি ফানুস। ফানুস ওড়ানো শেষে রাতে অনুষ্ঠিত হয় দেশাত্ববোধক গানের কনসার্ট। এসব আয়োজন দেখতে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই পদ্মাপাড়ে ঢল নামে হাজার হাজার দর্শনার্থীর। এই শহরে প্রথমবারের মতো এমন আয়োজনে মুগ্ধ, বিমোহিত তারা।

উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মশিহুর রহমান, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান, রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জার্জিস কাদির, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অর্ণা জামানসহ আরো অনেকে।

স্বাধীনতা উৎসবের ফেস্টিভ্যাল ডিরেক্টর রাশেদ ইসলাম সিল্কসিটি নিউজকে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার পর এমন আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। তবে এবারের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে রাজশাহীতে প্রতিবছরই ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করার চেষ্টা করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই