‘ঘুরে দাঁড়ানোর খুব কাছাকাছি আছি আমরা’

বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান তিনি। ৮৯ টেস্টে ৫০ গড়ে করেছেন ৬৯০৭ রান আর ১২৬ ওয়ানডেতে প্রায় ৫৩ গড়ে রান ৬০০৮। তবে ২০১৫ সালে টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাট হাতে সময়টা একদমই ভালো যায়নি হাশিম আমলার।

এই বছর আট টেস্ট খেলে ২২.৮১ গড়ে রান করেছেন মাত্র ২৫১। ২০০৬-এ টেস্ট অভিষেক হবার পর থেকে এই বছর শুরু হবার আগ পর্যন্ত করেছেন ২৩টি সেঞ্চুরি। কিন্তু এই বছর কোন টেস্ট সেঞ্চুরি নেই দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের, ফিফটি করতে পেরেছেন মাত্র একটা।

তবে ২০১৫ সালে নিজের এবং দলের সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্সের ব্যাপারে বলতে গিয়ে আমলা বললেন ভারতের বিপক্ষে সিরিজের কথা, ‘আমি মনে করি এই ম্যাচ (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বক্সিং ডে টেস্ট) আর সম্ভবত ভারতের বিপক্ষে দিল্লী টেস্ট।’

বক্সিং ডে টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৪১ রানে হারায় ইংল্যান্ড। আর দিল্লীতে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে ভারতের কাছে ৩৩৭ রানের বড় ব্যবধানে হারে প্রোটিয়ারা।

ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চান জানিয়ে আমলা বলেন, ‘গত বছর বেশকিছু রান করতে পেরেছিলাম। কিন্তু (এই বছর) সেটা ধরে রাখতে পারিনি, এটা হতাশাজনক। অধিনায়ক হিসেবে নিশ্চিতভাবেই আপনি দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চাইবেন। আশা করছি সামনের ম্যাচ থেকে আমি ঘুরে দাঁড়াতে পারবো। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ব্যাট হাতে কিছু রান তুলতে পারবো, যাতে ছেলেরা আমাকে অনুসরণ করতে পারে।’

২০১৫ সালে ব্যাট হাতে সাউথ আফ্রিকা দল মোটেই ভালো করতে পারেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে কেপটাউন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪২১ রান করেছিল প্রোটিয়ারা। এরপর এ বছর আরো সাতটি টেস্ট খেললেও, একবারও ৩০০-এর গন্ডিই পেরুনো হয়নি তাদের। বেশিরভাগ ইনিংসেই তারা গুটিয়ে গেছে ২০০ রানের মধ্যেই।

আমলা মানছেন, দলের খারাপ অবস্থার জন্য এই ব্যাটিং ব্যর্থতাই দায়ী। বললেন, ‘গত কয়েকটি ম্যাচে ব্যাটিংয়ে রান করতে না পারাটাই আমাদের দলের মূল দুর্বলতা। এটাই সম্ভবত সবচেয়ে বেশি হতাশাজনক, সবার জন্যই হতাশার।’

তবে এই ব্যর্থতা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারেও আশাবাদী ৩২ বছর বয়সী আমলা, ‘আমি মনে করি, ব্যাপারটা আত্মবিশ্বাসের। আমরা জানি না আর কতদিন এটা চলবে তবে আমরা আশা করি ঘুরে দাঁড়ানোর খুব কাছাকাছি আছি আমরা। ডিন (এলগার) চমৎকারভাবে শুরু করেছে। এই ম্যাচে তার সেঞ্চুরিটি আমাদের জন্য ইতিবাচক দিক। সে ভারতেও ভালো ব্যাটিং করেছে এবং সে যেভাবে খেলেছে সেটা থেকে আমরা বাকিরা শিক্ষা নিতে পারি।’

নিজের এবং দলের জন্য বছরটা খুব একটা ভালো না গেলেও অধিনায়কত্বটা উপভোগ করছেন জানিয়ে আমলা জানান, ‘আমি অধিনায়কত্বের প্রতিটা মিনিট উপভোগ করছি। হতাশ শুধু এই কারণে যে আমি রান পাচ্ছি না। এরকম একটা টেস্ট সিরিজের মাঝখানে রান করার ক্ষুধাটা আরো বেড়েছে।’



মন্তব্য চালু নেই