ঘুমের মধ্যে বোবায় ধরে কেন?

এ সময় ভয়ংকর হ্যালুসিনেশন হয়ে থাকে । এরসাথে দমবন্ধ হয়ে আসা, হার্টবিট কমে যাওয়া ঘরে শত্রু বা খারাপ মানুষের উপস্থিতি, কেউ টেনে নিয়ে যাচ্ছে,বুকে বা গলায় চেপে ধরছে এমন অনুভূতি হয়। এটি ঘুমের মধ্যে কিছু করা থেকে আমাদের বিরত রাখে । ঘুমিয়ে গেলে মস্তিষ্ক থেকে পেশীতে সংকেত যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়, তাই আমরা পেশী নাড়াতে পারিনা । অনেকেই একে বলি বোবায় ধরা। এর সাথে মোকাবিলা করা প্রয়োজন। আগে এর লক্ষণ জেনে ও বুঝে নিন –

লক্ষণঃ স্লিপ প্যারালাইসিসের অনেক লক্ষণ আছে কিন্তু প্রায় সবক্ষেত্রেই নিচের লক্ষণগুলো দেখা যায়।

১. ঘুমের শুরুতে কিংবা জেগে ওঠার সাথে সাথে পেশীতে অসারতা অনুভব

২. শ্রবণ বা দৃশ্য হ্যালুসিনেশন

৩. দমবন্ধ হয়ে আসা, হার্টবিট কমে যাওয়া ৪. ভয়, অসহায় বোধ, দ্বিধা এবার আসুন জেনে নেই কিভাবে এটি মোকাবিলা করব –

করণীয়ঃ স্লিপ প্যারালাইসিস হলে আমাদের নিচের কাজগুলি করা উচিত –

১. শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে মনোযোগ দিন নাড়াতে চেষ্টা করুন। এটা আপনাকে সম্পূর্ণ জেগে উঠতে সাহায্য করবে।

২. আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি স্লিপ প্যারালাইসিসের সময় আপনার চোখের নাড়াচাড়ার শক্তি থাকে, চেষ্টা করুন বারবার এতে স্লিপ প্যারালাইসিস থেমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

৩. নিশ্বাস নিতে চেষ্টা করুন, স্লিপ প্যারালাইসিসের সময় এটা বেশ উপকারী।

প্রতিকারঃ এবার দেখা যাক কীভাবে স্লিপ প্যারালাইসিস বন্ধ করা যায়।

১. দীর্ঘক্ষণ ঘুম বঞ্চিত থাকলে স্লিপ প্যারালাইসিসের সম্ভাবনা বেড়ে যায় । তাই নিয়মিত ঘুমাতে চেষ্টা করুন ।

২. পাশ ফিরে ঘুমাতে চেষ্টা করুন বেশীরভাগ স্লিপ প্যারালাইসিস উপুড় বা চিত হয়ে শুয়ে থাকা অবস্থায় হয়ে থাকে ।

৩. নিয়মিত ব্যায়াম করুন, রোজ জিমে যাওয়ার দরকার নেই বাসায় ব্যায়াম কিংবা সকালে কিছুক্ষণ হাটাহাটি যথেষ্ট ।

৪. স্বাস্থ্যকর খাওয়া দাওয়া স্লিপ প্যারালাইসিসের সম্ভাবনা কমায়, ঘুমের আগে ভাজাপোড়া খাওয়া পরিহার করুন ।

৫. নিজেকে রিল্যাক্স রাখুন মানসিক চাপ স্লিপ প্যারালাইসিসের কারণ হতে পারে, গান শুনুন, কিংবা ধ্যান করতে পারেন ।

৬. নিশ্চিত হোন কি কারণে স্লিপ প্যারালাইসিস হচ্ছে এবং তা পরিহার করুন যেমন অনেকক্ষেত্রে ঘুমের ঔষধ স্লিপ প্যারালাইসিসের কারণ হতে পারে।

৭. যদি ৬ মাস বা তার চেয়ে বেশী সময় ধরে প্রায় প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার স্লিপ প্যারালাইসিস হয় তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।



মন্তব্য চালু নেই