ঘুমানোর আগে ছোট্ট এ কাজগুলো করলেই পাওয়া যাবে জান্নাত

আমরা সবাই প্রতিদিন ঘুমাতে যাই। কিন্তু ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে আমাদের প্রয়োজনিয় কিছু কাজ রয়েছে হয়তো আমরা অনেকেই তা ভুলে যাই। অথবা অনেক সময় গাফিলতির কারণেই এ কাজগুলো করা হয়ে উঠেনা। কিন্তু আমরা যার আদর্শে নিজের জীবন গড়ার চেষ্টা করছি, প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) নিয়মিত একাজগুলো করতেন। মহানবী (স.) যা কিছু করতেন তাই আমাদের জন্য সুন্নত। রাসূল (স.) প্রতিদিন ঘুমের আগে খুব ছোট ছোট এই সুন্নত আদবগুলো পালন করতেন।

প্রথমে ওজু করে মেসওয়াক করা। সুরমা দেওয়া। মাথা আচরানো, প্রথমে ডানে পরে বামে শেষে মাঝ খানে আর এটাই মাথা আচরানোর নিয়ম। সকল খাবার ঢেকে রাখা। শোয়ার আগে বিছানা ঝেড়ে নেয়া। বাতি বন্ধ করা, ডান কাত হয়ে শুয়ে পড়বেন, আয়াতুল কুরসি পাঠ করবেন এক বার, ইখলাস তিন বার। ফাতিহা, কাফিরুন, কদর, ফালাক, নাস, তাকাসুর, আয়াতুল কুরসি এই সূরাগুলো চার বার পাঠ করবেন। এবং সূরা মূলক একবার।

‘যে ব্যক্তি আমাদের এ (শরীয়তের) ব্যাপারে নতুন কিছু উদ্ভাবন করে যা ওর অন্তর্ভুক্ত নয় তা প্রত্যাখ্যাত।’ (বুখারী মুসলিম, মিশকাত১৪০নং)

‘যে ব্যক্তি এমন কোনো আমল করে যার উপর আমাদের কোনো নির্দেশ নেই তা প্রত্যাখ্যাত।’ (মুসলিম ১৭১৮নং)

৩৩ বার সোবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ্‌, ৩৪ বার আল্লাহুয়াকবার। আর একবার এই দোয়াটিবপাঠ করলে ১০০ বার পূর্ণ হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ দাহু লাশারী কালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কদীর। এক বার বলবে – ঘুমানোর দোয়া, আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়াহ ইয়া পাঠ করতেন। এমন কেউ কি আছে এতো সহজ কাজ এবং ছোট দোয়াগুলো প্রতি দিন পাঠ করতে সামর্থ্য রাখে না? যারা এ দোয়াগুলো নিয়মিত পাঠ করবে এবং কাজগুলো করবে আল্লাহ তাদের জান্নাত দান করবেন।

একদা সাহাবাগণ আল্লাহর রসূল (স.) কে কোন সময় দোয়া অধিকরুপে কবুল হয় – সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছিলেন, ‘গভীর রাতের শেষাংশে এবং সকল ফরয নামাযের পশ্চাতে।’ (তিরমিযী, সুনান ৩৪৯৯, নাসাঈ, সুনান আমালুল ইয়াউমি অল্লাইলাহ্‌ ১০৮নং, মিশকাত ৯৬৮ নং) হাদীসটি অনেকের নিকট দুর্বল হলেও আসলে তা হাসান। (তিরমিযী, সুনান২৭৮২নং)



মন্তব্য চালু নেই