ঘুমন্ত বালকের ওপর অজগরের হামলা

অস্ট্রেলিয়ার বিশাল এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে সবুজ প্রকৃতি এবং বন্যজীবনের নানা অনুসঙ্গ। এখানকার বাসিন্দাদের জীবনের সঙ্গে মিশে রয়েছে প্রকৃতির বন্য রূপ। কখনো কখনো এই বনের কারণেই সৃষ্টি হয় নানা ভয়ানক ঘটনা। এমনই এক ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে দেশটির ছয় বছর বয়সী এক বালক।

গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় একটি অজগরের আক্রমণের মুখে পড়ে ওই বালক। ছেলের চিৎকারে হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে যায় তার মায়ের। ততক্ষণে অজগরটি ওই বালকের সারা দেহ আবৃত করে ফেলে। অবশ্য পরে প্রতিবেশিরা এসে বালকটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে।

শিশুটি বর্তমানে অস্টেলিয়ার ম্যাকবিলের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। সে সাপটির বিষয়ে কিছু বলতে পারছে না। শুধু বলছে, ‘আমার হাত ব্যথা করছে কেন? আমার হাতে রক্ত কেন?’

শিশুটির এক আত্মীয় বিবিসিকে বলেন, ‘তখন ছিল ছিল গভীর রাত। আমরা ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ টেলরের চিৎকারে আমাদের ঘুম ভাঙে। আমরা দেখতে পাই একটি অজগর আমাদের বাচ্চাকে পেঁচিয়ে ফেলেছে। তখন আমরা অনেক কষ্ট করে সাপটিকে সরিয়ে টেলরকে উদ্ধার করি।’

পরে উত্তর নিউ সাউথ ওয়েলেসের একটি জায়গায় ৮ ফিট লম্বা এই অজগর সাপটিকে হত্যা করে মাটি চাপা দেওয়া হয়।

সাপ বিশেষজ্ঞ ব্রায়ান রবিনসন বিবিসিকে বলেন, ‘এটি উপকূলীয় গালিচা জাতের অজগর। বিশেষ কোন কারণে এখানে এসে থাকতে পারে। তবে পরিস্থিতিটা সত্যিই খুব মর্মান্তিক। কেননা একটি শিশু যখন এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি পড়ে তখন তা শুনতে যেমন খারাপ শোনায় তেমনি ভয়ানক ও মনে হয়।’

তিনি জানান, সাপ সাধারণত নিজের আত্মরক্ষার জন্য অপরকে কামড়িয়ে থাকে। অথচ প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষই এই সরীসৃপটিকে হয় শিকারের জন্য, নয়তো মেরে ফেলার জন্য আঘাত করে থাকে।

অজগরটি সম্বন্ধে তিনি বলেন, এমনো হতে পারে সাপটি কারো আক্রমণের শিকার হয়ে কোন নিরাপদ জায়গার সন্ধানে সেখানে গিয়ে থাকতে পারে।



মন্তব্য চালু নেই