ঘাটাইলে বাল্য বিবাহের প্রকোপ বেড়েই চলছে

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বাল্য বিবাহের প্রকোপ দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রশাসনের চোখ কে ফাঁকি দিয়ে বাল্য বিবাহ হরহামেশাই নিকাহ্ রেজিস্ট্রেশন করে যাচ্ছেন কিছু সংখ্যাক অসাধু কাজীরা। এতে করে বিভিন্ন ইউনিয়নে বাল্য বিবাহের ফলে বিবাহ বিচ্ছেদ ও মতৃ মৃত্যুর হার বেড়ে চলছে।

জেলা তথ্য অফিসের সূত্র মতে বাংলাদেশের মধ্যে টাঙ্গাইল জেলার বাল্য বিবাহের হার বেশি। সরেজমিনে ঘুরে জানা যায় স্কুলে পড়য়া শিক্ষাথীরাই বাল্য বিবাহের শিকার হচ্ছে বেশি।

উপজেলার চানতারা ইউনিয়নের রামদেবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৩ জন ছাত্রী ২০১৪ শিক্ষাবর্ষের বাল্য বিবাহের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ষ্ঠ-একজন,সপ্তম-সাতজন, অষ্টম-বার,নবম-একজন ও দশম শ্রেণির-দুইজন ছাত্রী বাল্যবিবাহের শিকার। চলতি বছর এরই মধ্যে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির দুজন ছাত্রী বিয়ের পিড়িতে বসেছে।

ধলাপাড়া ইউনিয়নের রামদেবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাল্য বিবাহ নিয়মনীতিতে পরিণত হয়েছে। ঐ স্কুলের থেকে প্রায় বিশ জন শিক্ষার্থী বাল্য বিবাহের শিকার হয়েছে। এরা কাজীদের ম্যানেজ করে জন্ম নিবন্ধনে বয়স বাড়িয়ে নিকাহ্ রেজিস্ট্রেশন করে থাকে। কাজীরা প্রশাসন ও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হরহামেশাই নিকাহ্ রেজিস্ট্রেশন করে চলছেন।

অভিযোগ রয়েছে অনেক ক্ষেত্রে কাজীদের সহায়তায় জন্মনিবন্ধন সংশোধন করে নিকাহ্ রেজিস্ট্রেশন করা হয়। অনুসন্ধানীতে আরো জানা যায়, ১৯/১১/২০১৪ তারিখ তানতারা গণ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী কাত্রা গ্রামের প্রবাসী নূরুল ইসলামের মেয়ে নূরন্নাহারের বিয়ে ঠিক হয় ফতেরপাড়া গ্রামের সুমনের সাথে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন জানতে পারলে তৎকালিন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছাম্মৎ শাহিনা আক্তার উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বিয়ে বন্ধ ও নূরন্নাহের মা সোমলা বেগম কে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন কিন্তু বিয়ে বন্ধের ছয়ঘন্টা পর আবার বিয়ের পিড়িতে বসেন নূরুন্নাহার।

এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা কাজী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব কাজী আঃ মালেক বলেন, আমার কিছুই বলার নাই।

ঘাটাইল উপজেলার মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নাছিমা খাতুন আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি ইউনিয়নে ৪০ জন নারী কর্মী এ বিষয়ে কাজ করছে। পরবর্তী উপজেলা মাসিক সমন্বয় মিটিং এ বাল্য বিাবহের কুফল সম্পর্কে কাজীদের উদ্বুদ্ধ করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই